ভারতের ভ্যাকসিন যজ্ঞে ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে জ়াইকভ-ডি, ১ কোটি ডোজ় মিলবে অক্টোবরেই

স্বদেশী সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অক্টোবর মাস থেকেই প্রতিমাসে ১ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।

ভারতের ভ্যাকসিন যজ্ঞে 'গেমচেঞ্জার' হতে পারে জ়াইকভ-ডি, ১ কোটি ডোজ় মিলবে অক্টোবরেই
জ়াইকভ-ডি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 8:09 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের ভ্যাকসিন যজ্ঞে ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে ধরা দিতে পারে জ়াইকভ-ডি। শুক্রবারই ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে জ়াইডাস ক্যাডিলার এই ভ্যাকসিন। শনিবারই স্বদেশী সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অক্টোবর মাস থেকেই প্রতিমাসে ১ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিনের পাশাপাশি এটি বিশ্বের একমাত্র সূচ বিহীন ভ্যাকসিনও বটে। ফলে তিন ডোজ়ের এই টিকা আগামী দিনে ভারতের ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে পথ দেখাতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

তবে গতকাল এই টিকা জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ভারতীয় অভিভাবকরা। কারণ ১২ বছরের উর্ধ্ব শিশুদের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রধানত ১২ উর্ধ্বদের জন্যই সূচ-বিহীন এই টিকা ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যদিও দাবি করা হয়েছিল, অগস্টের মধ্যেই জ়াইকভ ডি-র প্রায় ৫ কোটি ডোজ় পাওয়া যাবে। কিন্তু এখনই তেমনটা হচ্ছে না।

কেন? জ়াইডাস ক্যাডিলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শারভিল প্যাটেল জানিয়েছেন, টিকা তৈরির নতুন প্ল্যান্টের অনুমতি পেতে প্রায় ৪৫ দিন দেরি হয়েছিল। যে কারণে অক্টোবরে পুরোদমে টিকা তৈরি শুরু করা যাবে। আপতত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিনগুলি আমেরিকা থেকে আমদানি করা হলেও শীঘ্রই এর উৎপাদন ভারতেও শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও তিন ডোজ়ের এই ভ্যাকসিনের দাম কত হবে সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি জ়াইডাস ক্যাডিলা।

কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি, মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসনের পর জ়াইকভ-ডি ভারতে ছাড়পত্র পাওয়া ষষ্ঠ এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হতে চলেছে। প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বছরে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ কোটি ডোজ় টিকা তৈরি করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। ইতিমধ্যেই বড় আকারে উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রায় ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে দেখা গিয়েছে, সূচ-বিহীন এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৬৬.৬ শতাংশ।

জ়্যাইকভ-ডি বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন হতে চলেছে যা করোনা ভাইরাসের উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। শরীরে প্রবেশ করার পর এটি হয় ডিএনএ অথবা আরএনএ হিসেবে নির্দেশ দেয় একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন তৈরি করার জন্য। সেই প্রোটিন তৈরি হওয়ার পরই শরীরের প্রতিরোধ শক্তি তাকে চিহ্নিত করে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি, ‘অন’ হয়ে যাচ্ছে বন্ধ ফোন, চুঁচুড়ার চিকিৎসকের পরিবারে প্রতি মুহূর্তে চোখ রাখছে কে?