Dengue in West Bengal: একদিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হাজারেরও বেশি, সংক্রমণ সামলাতে এবার আসরে দুয়ার সরকার ক্যাম্পও
Dengue Spread: রক্তের নমুনা পরীক্ষা বাড়ালেও ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট সামান্য কমেছে বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
কলকাতা: শনিবার সকালে ডেঙ্গিতে (Dengue in West Bengal) আক্রান্ত এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়। শহর তথা গোটা রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মাথাব্যাথা এখনও কমছে না রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department)। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, ডেঙ্গি দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। ফগিং মেশিন থেকে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে, নদর্মায় গাপ্পি মাছ ছাড়া… সবই চলছে। কিন্তু তাও বাগে আনা যাচ্ছে না ডেঙ্গিকে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৪৭। তবে এত কিছুর মধ্যেও স্বাস্থ্য দফতর থেকে খানিক আশার বাণী শোনানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে যে পরিমাণ ডেঙ্গির নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে শনিবার। রক্তের নমুনা পরীক্ষা বাড়ালেও ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট সামান্য কমেছে বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে শনিবার সকালে দুয়ারে সরকার নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বৈঠকেও উঠে এসেছে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে। বৈঠকে দুয়ারে সরকার শিবিরকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজে লাগাতে বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দুয়ারে সরকার শিবিরে যে সব মানুষজন আসবনে, তাঁদের সচেতন করার পাশাপাশি শিবির সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবেন শিবিরের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনেও জোর দেবে ভেক্টর ডিজ়িজ কন্ট্রোল টিম।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি প্রতি বছরই স্বাস্থ্য দফতরের জন্য একটি অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গির প্রকোপ সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আসরে নামতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। এবারও তার অন্যথা হয়নি। জেলায় জেলা প্রচার অভিযান চলছে। লোকালয়ের কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, তার উপর সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। আশাকর্মীদের উপর আরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে। কারও জ্বর রয়েছে কি না, তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার টেস্ট করানোর উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি।