Electric Bus: ১১৮০টি ই-বাস নামবে শহরে, কেন এত দেরি? জানালেন মন্ত্রী
Electric Bus: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সরকারি বাসের অভাব আছে রাস্তায়। সেই সংখ্যা আরও একটু বাড়াতে হবে।
কলকাতা: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দিন এবার শেষ! রাস্তায় যেভাবে ইলেকট্রিক গাড়ি বা ই ভেইকল নামানো হচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি আর থাকবে না বলেই মনে করেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের তরফে ১১৮০টি ই ভেইকল অর্ডার দেওয়া হয়েছিল টাটার একটি সংস্থার কাছে। এতদিনে সেগুলি রাস্তায় নেমে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু একটি মামলার কারণে সেগুলি আটকে আছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সরকারি বাসের অভাব আছে রাস্তায়। সেই সংখ্যা আরও একটু বাড়াতে হবে। নতুন কিছু রুট তৈরি হয়েছে, যেগুলিতে অবিলম্বে বাস নামাতে চায় রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন, টোটো-অটোর মতো ছোট গাড়ির বহর বেড়ে যাওয়ায় বাস পরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছে। স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি, প্রচুর ছোট গাড়ি রাস্তায় নেমেছে। শয়ে শয়ে টোটো নামিয়ে দিন চালাচ্ছেন বেকার যুবকেরা। তাঁদের তুলে দিতে পারে না সরকার। তলে এর জেরেই বাসগুলির আয় কমেছে। স্কুলে বা বাজারে যেতে আর কেউ বাসে উঠছে না, অনেক রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে টোটোগুলিকে একটা নিয়মে বেঁধে দেওয়ার কথা ভেবেছে সরকার, যাতে তারা মেন রাস্তায় না যায়।
মন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রতিনিয়ত ২৪০০ বাস রাস্তায় নামে। করোনার সময় এই সংখ্যা কমে ১৯০০ হয়ে গিয়েছিল, পরে তা বেড়ে যায়। আগে ৩৩০০ বাস ছিল। তার মধ্যে ২৫০টি বাস নানা কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, ৫০০ বাস বিভিন্ন কাজে যুক্ত রয়েছে।