Mamata Banerjee Cabinet: ‘প্রোমোশন’ হবে নন্দীগ্রাম থানার, গ্রামীণ থেকে এবার আধা শহরাঞ্চলীয়, কী কী পরিবর্তন হবে
Nandigram Police Station: কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার কোনও সরকারি ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে নন্দীগ্রামের যে রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে এবং বর্তমান সময়েও যেভাবে নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে চর্চিত, সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কলকাতা: ভোল বদলাবে নন্দীগ্রাম থানার। গ্রামীণ থেকে এবার উন্নীত হবে আধা শহরাঞ্চলীয় থানায়। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নন্দীগ্রাম থানার এই চরিত্র বদলের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে আমূল বদলে যাবে নন্দীগ্রাম থানার চেহারা। কী কী পরিবর্তন দেখা যাবে নন্দীগ্রাম থানায়? সূত্রের খবর, গ্রামীণ থেকে আধা শহরাঞ্চলীয় থানায় উন্নীত হলে বাড়ানো হবে নন্দীগ্রাম থানার পরিকাঠামো। বর্তমানে নন্দীগ্রাম থানার যে ভবনটি রয়েছে, তা আরও বড় করা হবে। এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশকর্মীও নন্দীগ্রাম থানায় নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম হাইভোল্টেজ এলাকা নন্দীগ্রাম। সেই রাজনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করেই নন্দীগ্রাম থানার চরিত্র বদলের জব্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার কোনও সরকারি ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে নন্দীগ্রামের যে রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে এবং বর্তমান সময়েও যেভাবে নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে চর্চিত, সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলার রাজনীতিতে আরও গুরুত্ব বেড়েছে নন্দীগ্রামের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সদস্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলাফলের দিকে নজর ছিল সকলের। সেখানে জেলা পরিষদ স্তরে বিজেপি বিশেষ সুবিধা না পেলেও, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কার্যত গেরুয়া আবিরে উড়েছে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে। নন্দীগ্রাম ১ ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লক মিলিয়ে ১৭টির মধ্যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই বিজেপি দাপট দেখিয়েছে। এদিকে সামনেই আবার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মমতার মন্ত্রিসভায় এমন প্রস্তাব স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।