Cyber Fraud: ফেসবুকে মহিলার পরিচয়ে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ২,৫০,০০০ টাকার প্রতারণা! লোক ঠকানোর কারবারের পর্দাফাঁস বিধাননগর পুলিশের
Cyber Crime: দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির সাজাও ঘোষণা করে আদালত। উভয়কেই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা: খাস কলকাতায় সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) বড়সড় পর্দাফাঁস। ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতিয়ে এক ব্যক্তির থেকে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। জানা গিয়েছে উপহার পাঠানোর নামে ওই ব্যক্তিকে ঠকিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় (Cyber Crime Police Station) অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তদন্তভার গিয়ে পড়ে সাইবার ক্রাইম থানার অ্যাসিস্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সুখেন্দু মোদকের উপর। তদন্ত হাতে পেতেই আসরে নেমে পড়ে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফ্রান্সিস চুকুডি এবং অ্যান্ড্রু চিননসো নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা উভয়েই নাইজেরিয়ার নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের থেকে সন্দেহজনক বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়।
পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই সত্যজিৎ কর্মকার নামে ওই অভিযোগকারী ব্যক্তির আড়াই লাখ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির সাজাও ঘোষণা করে আদালত। উভয়কেই আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় বারাসত আদালত। সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারী অফিসার সুখেন্দু মোদককে এই তদন্ত প্রক্রিয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন বিধাননগর পুলিশের কমিশনার গৌরব শর্মাও।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, ফেসবুকে ইলা জেমস নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তারপর হোয়াটসঅ্যাপেও কথা হত তাঁদের। ইলা জেমসের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি ভারতের কোনও নম্বর নয়। সত্যজিৎ বাবুর অভিযোগ ছিল, উপহার পাঠানোর নামে আড়াই লাখ টাকার প্রতারণা করেছিল ওই ইলা জেমস। পরে জানা যায়, মহিলার নাম করে দুই নাইজেরিয়ান যুবক এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলার পর ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত ওই দুই নাইজেরিয়ান বিদেশি নাগরিক হলেও, থাকত দিল্লিতে। রাজধানীর উত্তম নগর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।