Medical Negligence: MRI করাতে গিয়ে কলকাতার হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু, চিকিৎসক বলছেন, ‘মেডিক্যাল মিস্ট্রি’
Patient Death: মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শনিবার হাসপাতালের পার্ক সার্কাস সেন্টারে এমআরআই করানো হয়। জানা যাচ্ছে, এমআরআই যন্ত্রে ঢোকানোর পর বমি বমি ভাব শুরু হয় শ্রীপর্ণার। মায়ের দাবি, মেয়ে যখন গুরুতর অসুস্থ তখন তাঁকে দেখার জন্য কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।
কলকাতা: এমআরআই (MRI) করাতে গিয়ে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে তরুণীর মৃত্যু (Patient Death)। বছর কুড়ির ওই তরুণীর নাম শ্রীপর্ণা দত্ত। বাড়ি তেঘরিয়া এলাকায়। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের পদার্থবিদ্যার ছাত্রী। মেধাবী ছাত্রীর হাত কাঁপার সমস্যার চিকিৎসা করানোর জন্য মেয়েকে মল্লিকবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ২০ এপ্রিল দেখাতে নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। বহির্বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শনিবার হাসপাতালের পার্ক সার্কাস সেন্টারে এমআরআই করানো হয়। জানা যাচ্ছে, এমআরআই যন্ত্রে ঢোকানোর পর বমি বমি ভাব শুরু হয় শ্রীপর্ণার। মায়ের দাবি, মেয়ে যখন গুরুতর অসুস্থ তখন তাঁকে দেখার জন্য কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।
পার্ক সার্কাসের ওই সেন্টারে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন মল্লিকবাজারে নিয়ে আসা হয় ততক্ষণে সব শেষ। গোটা ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত তরুণীর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, এমআরআই করানোর সময় এমআরআই সেন্টারে ছিল না চিকিৎসক। যে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ছিলেন তিনিও তুলনায় কম অভিজ্ঞ। শ্রীপর্ণার অন্য কোনও শারীরিক সমস্যাও ছিল না বলে দাবি পরিবারের। শ্রীপর্ণার মায়ের প্রশ্ন, এমআরআই করাতে গিয়ে কীভাবে মেয়ের মৃত্যু ঘটল? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা। এম আরআই করাতে গিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনা যে স্বাভাবিক নয় তা মেনে নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও।
হাসপাতালের তরফে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘রোগীর কিছু সমস্যা ছিল। সেই কারণে এমআরআই করা হয়েছিল। তাঁর মাঝে মাঝে অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভিতর কী চলছে, তা বোঝার জন্য এমআরআই করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এমআরআই শেষ হওয়ার কিছু আগে থেকেই তিনি বমি বমি ভাব অনুভব করতে থাকেন। তাঁকে বের করে চেয়ারে বসানো হয়েছিল। আর সঙ্গে সঙ্গে বমি শুরু হয়। সেই সময় দুইজন কনসালটেন্ট আসেন এবং তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কোনও কাজ হয়নি। এরপর তাঁকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পালস রেট পাওয়া যায়নি। কী কারণে মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
যে চিকিৎসক শ্রীপর্ণাকে দেখছিলেন, সেই চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘রোগী মাঝেমধ্য়েই অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। তাই রুটিন চেকআপের জন্য এমআরআই করতে বলা হয়েছিল। রোগীর সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কেন এমন হল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কেন মৃত্যু হল, তা একটি মেডিক্যাল মিস্ট্রি।’