21 July: ডিম নয়, মুরগির মাংস, শেষ পাতে চাটনি! একুশের মেনুতে ‘হাওয়াবদল’

21 July: গন্তব্য একুশের মঞ্চ। খণ্ডঘোষ থেকে ভোর পাঁচটা নাগাদ ৮০ জন এসেছেন কলকাতায়। বাসে শ্যামবাজার। তারপর সেখানেই কিছুটা জিরিয়ে নেওয়া। সঙ্গে ' মিনি ফিস্টি'। সভাস্থলে পৌঁছানোর আগে রাস্তার ধারেই তাই চাদর পেতে রান্নার আয়োজন। গ্যাস স্টোভ সবই প্রস্তুত।

21 July: ডিম নয়, মুরগির মাংস, শেষ পাতে চাটনি! একুশের মেনুতে 'হাওয়াবদল'
মেনুতে মাংসImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2024 | 11:33 AM

কলকাতা: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়। যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউয়ের এক পাশে মাটিতে চাদর পেতে বসে পড়েছেন কয়েকজন। কেউ পেঁয়াজ কাটছেন, কেউ টমেটো কাটছেন, কেউ কড়াইতে তেল ঢেলেছেন। মশলা মাখানো হয়েছে মাংসতে। পুরো ‘ফিস্টি মেজাজ’! ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে দশটা। মাংসভাত  খেয়ে তাঁরা রওনা দেবেন ধর্মতলায়। কীভাবে সম্ভব? পারবেন? নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো উঠে পড়বেন মঞ্চে? পারবেন পৌঁছাতে? প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁদের। পেঁয়াজ কাটতে কাটতেই বলে উঠলেন, ‘সব হবে, মাংস রান্না হতেই ২০-২৫ মিনিট লাগবে, খেতে আর কতক্ষণ! ঠিক পৌঁছে যাব?’

গন্তব্য একুশের মঞ্চ। খণ্ডঘোষ থেকে ভোর পাঁচটা নাগাদ ৮০ জন এসেছেন কলকাতায়। বাসে শ্যামবাজার। তারপর সেখানেই কিছুটা জিরিয়ে নেওয়া। সঙ্গে ‘ মিনি ফিস্টি’। সভাস্থলে পৌঁছানোর আগে রাস্তার ধারেই তাই চাদর পেতে রান্নার আয়োজন। গ্যাস স্টোভ সবই প্রস্তুত। ঝপাঝপ সবাই বসে পড়েছেন পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে, আলু কাটতে, কেউ মাংসে মশলা মাখাচ্ছেন। শুধু ভাত মুরগির মাংসই নয়, মেনুতে থাকতে চাটনিও। এক্কেবারে সাদে আহ্লাদে একুশে!

একুশে জুলাই বলতে, আমজনতার কাছে একটা ছবি ভীষণ স্পষ্ট ডিম ভাত। কিন্তু এবার ছবি আলাদা। ডিমের বদলে মাংস। এক কর্মী বললেন, “সকাল ১০ টায় পৌঁছেছে। এবার খেয়ে দেয়ে যাব। ২০-২৫ মিনিট লাগবে, বেশিক্ষণ লাগবে না।” আরেক কর্মী বললেন, “আমরা দিদির বার্তা শুনব বলে এসেছি। কিন্তু ভোর রাতে বেরিয়েছি তো বাড়ি থেকে, খিদে লেগেছে। তাই পেটে দিয়েই যাব দিদির কাছে। ” আরেক মহিলা সমর্থক বললেন, “দিদি আমাদের অনেক উন্নয়ন করেছেন। একশো দিনের কাজ, লক্ষ্মীর ভান্ডার সব, অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দিদির কাছ থেকে আরও উন্নয়নের বার্তা শুনতে এসেছি।”