Child Death in B C Roy: আবার ৪ শিশুর মৃত্যু বি সি রায় হাসপাতালে

Child Death: বি সি রায় শিশু হাসপাতাল কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে পা রাখলেই হয় এই ছবি নয়ত আতঙ্কের ছবি ধরা পড়ছে।

Child Death in B C Roy: আবার ৪ শিশুর মৃত্যু বি সি রায় হাসপাতালে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 2:07 PM

কলকাতা: অ্যাডিনো ভাইরাস-এই নামটাই যেন গোটা বাংলার অভিভাবকদের কাছে শঙ্কার কারণ। রাজ্যে জ্বর-শ্বাসকষ্টে একের পর এক শিশুর মৃত্যু। দিশেহারা পরিবার। তবে প্রতিটি শিশু মৃত্যুই অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে হয়েছে এমনটা নয়। কোলে এক রত্তিকে নিয়ে চোখে জল ও বুক ফাটা হাহাকার পরিবারগুলির। বি সি রায় শিশু হাসপাতাল কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে পা রাখলেই হয় এই ছবি নয়ত আতঙ্কের ছবি ধরা পড়ছে। এমন আবহে ফের শিশুমৃত্যুর খবর এল বিসি রায় হাসপাতাল থেকে। রবিবার রাত্রি ৮টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত মোট চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত্রি আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা মারিয়া মণ্ডলের। শিশুটির বয়স পাঁচ মাস। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে এই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, গতকালই রাত্রি ১১টা নাগাদ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। এই বাচ্চাটিরও জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। এরপর রাত্রি ১টা নাগাদ খবর আসে হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে আরও এক শিশুর মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন হাসপাতালে কত শিশুর মৃত্যু

জানুয়ারি মাস থেকে আজ পর্যন্ত (১৩ মার্চ ২০২৩)  রাজ্যে শ্বাসকষ্টে মোট মৃত শিশুর সংখ্যা ১৪৭। তার মধ্যে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সেই সংখ্যা ২০জন। আরজি করে মৃতের সংখ্যা ২৫ জন। চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালে সংখ্যাটা ২জন। জেলার মধ্যে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে  এ পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ২ জন শিশুর প্রাণ গিয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ২ জন মারা গিয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে জানা গিয়েছে ২ জন মারা গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ২ জন শিশুর।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ থাকে, অ্যাডিনোর প্রকোপের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোর কবলে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। অ্যাডিনো আক্রান্ত ৩৮ শতাংশ। তামিলনাড়ু ১৯ শতাংশ। কেরল ১৩ শতাংশ। দিল্লি ১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ। কেন্দ্রের সমীক্ষার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্ক হওয়ারও কিছু নেই।  পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

এই সবের পরও প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে শিশু মৃত্যুর খবর। সকলেই অ্যাডিনোতে আক্রান্ত না হলেও জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় সকলের। এখন শিশুদের পরিবার প্রশ্ন কবে কাটবে এই আতঙ্ক?