Kolkata Police Bhangar: একাধিক নতুন থানা নিয়ে ভাঙড় ডিভিশন কলকাতা পুলিশের অধীনে, প্রস্তাবে সিলমোহর মন্ত্রিসভায়

Kolkata Police Bhangar: মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো, লালবাজারের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

Kolkata Police Bhangar: একাধিক নতুন থানা নিয়ে ভাঙড় ডিভিশন কলকাতা পুলিশের অধীনে, প্রস্তাবে সিলমোহর মন্ত্রিসভায়
লালবাজার (ফাইল ছবি)Image Credit source: Kolkata Police (official website)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2023 | 8:32 PM

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে ভোটের ফল প্রকাশের পর পর্যন্ত শিরোনামে থাকা ভাঙড়ে এবার আমূল পরিবর্তন। পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আগেই। সোমবার মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। তবে শুধুমাত্র ভাঙড় বা কাশীপুর থানা নয়, এই ডিভিশনে সংখ্যা বাড়বে আরও। সূত্রের খবর, নতুন আটটি থানা তৈরি হবে, যা কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বর্তমানে ইস্ট ডিভিশনের অধীনে থাকা লেদার কমপ্লেক্স থানাও ভাঙড়ের অন্তর্গত করা হবে। অর্থাৎ নতুন পুরনো সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকবে ভাঙড়ের ৯টি থানা। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো, লালবাজারের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা।

প্রস্তাবে যে নতুন আটটি থানার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হল হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, নারায়ণপুর, ভাঙড়, বোদরা ও চন্দনেশ্বর। শুধুমাত্র ভাঙড় থানাকে ভেঙেই তৈরি করা হচ্ছে নারায়ণপুর, ভাঙড়, বোদরা ও চন্দনেশ্বর।

পঞ্চায়েত ভোটের আবহে প্রায় একমাস ধরে শিরোনামে ছিল ভাঙড়। মনোনয়ন পর্বে কীভাবে আগুন জ্বলেছিল, বোমা পড়েছিল সেই ছবি কারও অদেখা নয়। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পরও বেশ কিছুদিন ১৪৪ ধারা জারি ছিল ভাঙড়ে। এলাকার ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন খোদ নওশাদ সিদ্দিকী। সন্ত্রাসের অভিযোগ পেয়ে ভাঙড়ে গিয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল। সেই ভাঙড়ই এবার কলকাতা পুলিশের অধীনে।

গত মাসেই আলিপুর বডিগার্ডস লাইনে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেছিলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলেছিলেন তিনি।