AAP in West Bengal: ED-CBI এলে আমাদের দলের নেতারা হাসপাতালে যান না : AAP রাজ্য মুখপাত্র

ED-CBI : আম আদমি পার্টির রাজ্য সংগঠনের মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র বলেন, "আমাদের যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাতে আমরা খুশি। আমরা চাই, তাঁরা (কেন্দ্রীয় সংস্থা) তদন্ত করুক। কারণ, যতবার তদন্ত করবে এবং আগামী দিনে শূন্য টাকার দুর্নীতি বের করবে, তত আমরা মানুষকে গিয়ে বলতে পারব, আমরা দুর্নীতিবাজ নই।"

AAP in West Bengal: ED-CBI এলে আমাদের দলের নেতারা হাসপাতালে যান না : AAP রাজ্য মুখপাত্র
আম আদমি পার্টির রাজ্য মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 11:54 PM

কলকাতা : ইডি-সিবিআই-এর (ED and CBI) জোড়া ফলায় রাজ্যের শাসক দল এখন বেশ অস্বস্তিতে। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। অন্যদিকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এসএসসি কাণ্ড, গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে পরতে পরতে উঠে আসছে নতুন রহস্যের মোড়। আর এরই মধ্যে রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়াল তৃণমূলের ‘বন্ধু-দল’ আপ আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) রাজ্য সংগঠন। অরবিন্দ কেজরীবালের দলের পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র জানান, ইডি বা সিবিআই হানা দিলে আপের নেতারা হাসপাতালে ভর্তি হন না।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতারাই নন, রয়েছেন আপ আদমি পার্টির নেতারাও। দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে অরবিন্দ কেজরীবালের ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়ার ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি বলে দাবি সিসোদিয়ার। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আম আদমি পার্টির রাজ্য সংগঠনের মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র বলেন, “আমাদের যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাতে আমরা খুশি। আমরা চাই, তাঁরা (কেন্দ্রীয় সংস্থা) তদন্ত করুক। কারণ, যতবার তদন্ত করবে এবং আগামী দিনে শূন্য টাকার দুর্নীতি বের করবে, তত আমরা মানুষকে গিয়ে বলতে পারব, আমরা দুর্নীতিবাজ নই এবং সার্টিফিকেটটা বিরোধীরা দিচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে।”

এর পাশাপাশি আম আদমি পার্টির রাজ্য মুখপাত্রকে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওনাদের দলের কথা আমরা বলতে পারব না। আমরা আমাদের দলের কথা বলতে পারব। আমাদের দলের নেতাদের কাছে যখন ইডি-সিবিআই আসে, তখন আমরা হাসপাতালে যাই না। আমাদের দরকার হয় না। আমরা ১৩ ঘণ্টা, ১৪ ঘণ্টা ধরে তাঁদের স্বাগত জানাই। তারপর বেরিয়ে আমরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হই। আমরা প্রচণ্ড সহযোগিতা করছি এবং আমাদের হাসপাতালে যাওয়ার দরকার হচ্ছে না।”