Abhishek Banerjee: ট্রায়ালের জন্য সবে উড়তে যাবে অভিষেকের চপার, আচমকাই হাজির IT কর্তারা, ব্যাগ-সিট ঘেটেঘুটে দেখলেন সবটা

Abhishek Banerjee: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা কোনও হেভিওয়েট যখন চপার বা বিমানে করে কোথাও যান সেই সময় সেটির ট্রায়াল রান করতে হয়। আজও নিরাপত্তার কারণে চলছিল সেই ট্রায়াল রান। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে চপারটি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল হলদিয়ায়।

Abhishek Banerjee: ট্রায়ালের জন্য সবে উড়তে যাবে অভিষেকের চপার, আচমকাই হাজির IT কর্তারা, ব্যাগ-সিট ঘেটেঘুটে দেখলেন সবটা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2024 | 5:39 PM

কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারে আয়কর হানা। ট্রায়াল রানের সময় হানা দেন গোয়েন্দারা। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ট্রায়ালের সময় আয়কর তল্লাশি বলে তৃণমূলের। দীর্ঘক্ষণ ধরে চপার আটকে রেখে তল্লাশি অভিযান। শুধু তাই নয়, তল্লাশি চালানোর সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাগ-বিতন্ডা। তবে চপারে কিছুই মেলেনি বলে দাবি তৃণমূল নেতার।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা কোনও হেভিওয়েট যখন চপার বা বিমানে করে কোথাও যান সেই সময় সেটির ট্রায়াল রান করতে হয়। আজও নিরাপত্তার কারণে চলছিল সেই ট্রায়াল রান। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে চপারটি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল হলদিয়ায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই সময় আচমকাই আয়কর দফতরের আধিকারিকরা সেখানে আসেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারের কাছে পৌঁছে ব্যাগ, আসন সব তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে তল্লাশি। এমনকী পাইলটের সঙ্গেও কথা বলেন আধিকারিকরা। শাসকদলের দাবি, আয়কর দফতরের কর্তারা কোনও নোটিস ছাড়াই এই তল্লাশি চালিয়েছেন। যার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলেই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

এই নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও একটি টুইট করেছেন। যেখানে লেখা হয়েছে, আগামিকাল তিনি হলদিয়া যাচ্ছেন দলের কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করার জন্য। সেই কারণেই হেলিকপ্টারটির ট্রায়াল রান চলছিল। হঠাৎ করে আইটির কয়েকজন কর্তা হাজির হন। চপারে তল্লাশি করা হয়। বাক্স-প্যাটরা খুলে তল্লাশি চালানো হয়। এমনকী অভিষেকের আধিকারিকদের সঙ্গে আইটি কর্তাদেরও বাকবিতন্ডা হয়। এ দিকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দেখছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন তল্লাশি বলতে পারেনি। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ছবি তুলতে যাচ্ছিল ঝগড়া করেছে। কিছু খুঁজে পায়নি। জিনিসপত্র খুলে দেখে তছনছ করেছে। বাধা দিতে গেলে বা প্রশ্ন করতে গেলে বলেছে আটকে রাখব। দেরি করাব। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” অপরদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেন, “চপারটি অভিষেক কিনেছেন? যে কোম্পানির চপার সেই কোম্পানি ট্যাক্স ভরেছে কি না, লাইসেন্স আছে কি না সেই সব প্রশ্ন করতেই পারে। গতবারের ভোটে তো চপার নামতেই দিত না আমাদের। অনুমতি ছিল না।”

প্রসঙ্গত, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আগেই বলে দিয়েছিলেন, ভোট নজরদারিতে এবার ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে পোর্টাল তৈরি করা হবে। নির্বাচনে  কোনওভাবেই অর্থশক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। রাজ্যে যতগুলো হেলিপ্যাড, বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে কমিশনের তরফ থেকে। কমিশনের নির্দেশ, জেলাশাসক যখন কোনও হেলিকপ্টার কিংবা বিমানকে অবতরণের সবুজ সঙ্কেত দেবেন, তখন খবর ইনকাম ট্যাক্স ও  এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকেও দিতে হবে।