Salt Lake Road: ‘সল্টলেকে থাকি বলতে লজ্জা লাগে’, ফুঁসছে বিধাননগরবাসী
Salt Lake Road: খুবই ধীর গতিতে যান চলাচল করলেও সবসময় এড়ানো যাচ্ছে না বিপদ। দুর্ঘটনাও যেমন বাড়ছে তেমনই হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। ক্ষোভ বাড়ছে গোটা বিধাননগরে।
কলকাতা: পুজোর মুখে শহরের রাস্তার অবস্থা দেখতে শুক্রবার রাতেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাস্তায় নেমে দেখেন রাস্তার হালহকিকত। তবে রাস্তার অবস্থা দেখে মোটের উপর তিনি সন্তোষই প্রকাশ করেছেন। বাকি যেগুলির অবস্থা খারাপ সেগুলিও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে খবর। কিন্তু, সল্টলেকের অবস্থা কিন্তু এখনও তথৈবচ। বেহাল অবস্থা একাধিক রাস্তার। কয়েকদিন আগে লাগাতার বৃষ্টির জেরে কঙ্কালসার চেহারা হয়ে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার। বহু রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা। তাতেই পুজোর মুখে ক্ষোভের হাওয়া পথচারীদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, বিধাননগর পুরনিগমের ৪১টি রাস্তার অবস্থা বেহাল। সব জায়গাতেই খানাখন্দে ভরা। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পূর্ত ভবন, সল্টলেক স্টেডিয়াম, ২ নম্বর গেট সহ বিভিন্ন রাস্তার একই চেহারা। আর তাতেই বিপত্তি যান চলাচলের। খুবই ধীর গতিতে যান চলাচল করলেও সবসময় এড়ানো যাচ্ছে না বিপদ। দুর্ঘটনাও যেমন বাড়ছে তেমনই হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। ক্ষোভ বাড়ছে গোটা বিধাননগরে।
এক ট্যাক্সি চালক তো বলছেন, এখানে গাড়ি চালাতে গিয়ে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বারবার গাড়ির নানা যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যায়। সারাতে গিয়ে অনেক খরচও হয়ে যায়। যা আয় হয় সবই গাড়ির পিছনে চলে যায়। আর এক অটো চালক বলছেন, সবাই তো দেখছে রাস্তার অবস্থা কী হয়ে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। সারাইয়ের কাজ তো হচ্ছে না। এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, নির্বাচনের পর থেকে আমি কাউন্সিলরকে দেখিনি। রোড ট্যাক্স দিই, এমনি ট্যাক্সও দিই। কিন্তু, অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই। আমার লোকজনকে খুব লজ্জা লাগে বলতে যে আমি সল্টলেকে থাকি।