Recruitment Scam: ‘রোজ একই গজল গাইছেন, অন্য কিছু বলুন’, CBI-কে বললেন বিচারক
Recruitment Scam: এজলাসে বিচারক সিবিআই আইনজীবীর থেকে তদন্তের প্রগ্রেস রিপোর্ট দেখতে চান। কিন্তু এদিন তা দেখাতে পারেননি সিবিআই আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, তদন্তে কী বাকি আছে, তা দেখতে হবে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এদিন পেশ করা হয়েছিল আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। সেই সময়ে এজলাসে বিচারক সিবিআই আইনজীবীর থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দেখতে চান। কিন্তু এদিন তা দেখাতে পারেননি সিবিআই আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, তদন্তে কী বাকি আছে, তা দেখতে হবে। সিবিআই আইনজীবীর এমন বক্তব্যে কিছুটা অসন্তুষ্ট হন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। বললেন, ‘আপনারাও অন্য কিছু বলুন। রোজ একই গজল গাইছেন।’ বিচারক আরও বলেন, ‘এক মাস আগে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়েছেন। তাহলে কি একমাসে তদন্ত হয়নি? আগে রিপোর্ট দিন, পরে জামিনের শুনানি হবে।’
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট রাজনীতিক, শিক্ষাকর্তা এবং বেশ কিছু এজেন্ট বা মিডলম্যান। আর এসবের মধ্যেই শুক্রবার তদন্তকারী সংস্থাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, এক এক জন বন্দিকে সংশোধনাগারে রাখার জন্য সরকারের খরচের কথা। সিবিআই-এর আইনজীবীকে বিচারক বললেন, ‘আপনারা জানেন না একজন বন্দিকে রাখলে সরকারের কত খরচ হয়?’
এদিন আদালত চত্বরের বাইরে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী বললেন, ‘আমরা বিচারপ্রার্থী। আমরা বিচার পাচ্ছি না। যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরাও বিচার পাচ্ছেন না। এই কথাটি এদিন আমরা তুলে ধরি বিচারকের কাছে। তাতে বিচারক অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হলেন। বিচারক আগের দিনও বলেছিলেন, এদিনও বললেন… রিপোর্ট দিতে হবে। আগে যাই স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়ে থাকুন, আবার ফ্রেশ স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, জীবনকৃ্ষ্ণ সাহার বাড়িতে ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই হানা চলাকালীনই পাঁচিলের উপর উঠে পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল বিধায়কের বিরুদ্ধে। সেই অভিযানে তৃণমূল বিধায়ককে পাকড়াও করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় কিছুটা অসন্তুষ্ট বিচারক।