হাওয়া বার্তা: তাপমাত্রা কমলেও ফ্যান চালিয়েই পিঠে-পুলি খেতে হবে শহরবাসীকে
আবার ৩ থেকে ৪ ডিগ্রির পারা পতন হতে পারে। তবে আগের ঠাণ্ডা ফিরে আসার কোনও আশা নেই বললেই চলে। তাপমাত্রা কমলেও তা বজায় থাকবে তিন থেকে চার দিন।
কলকাতা: এ কোন শীতকাল (Winter)! ভরা পৌষে বনবন করে পাখা ঘুরছে শহরবাসীর ঘরে। পৌষ সংক্রান্তি দুয়ারে এসে পড়লেও শীতের আমেজ উপভোগ করার কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে এবারে সংক্রান্তিতে পিঠে-পুলি খেতে হবে পাখা চালিয়েই। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হওয়া অফিস (Alipur Weather Office)।
কলকাতায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৯ ডিগ্রি। যেটা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৭ ডিগ্রি বেশি। গত পাঁচ বছর পর আবার তাপমাত্রা এতটা বাড়ল। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই রকম আবহাওয়াই বজায় থাকবে। তারপর থেকে আবার ৩ থেকে ৪ ডিগ্রির পারা পতন হতে পারে। তবে আগের ঠাণ্ডা ফিরে আসার কোনও আশা নেই বললেই চলে। তাপমাত্রা কমলেও তা বজায় থাকবে তিন থেকে চার দিন। তারপর থেকেই আবার তাপমাত্রা বাড়বে। তবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। আবাহাওয়ার এই ধরনের খামখেয়ালিপনা অত্যন্ত বিরল বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
গত ৫০ বছরে আবহাওয়ার ইতিহাসে এই ধরনের জলবায়ুর নজির খুবই কম রয়েছে। এর আগে মাত্র দু’বার এমন চরমভাবাপন্ন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। যা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৮.১ ডিগ্রি বেশি। তার আগে ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারি স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে দেননি মমতা’, পিচে নেমেই ফ্রন্টফুটে শোভন
তাপমাত্রার এই বেজায় তাপমাত্রার কারণ হিসেবে আবাহাওয়া দফতরের কর্তা জানিয়েছেন, “দক্ষিণবঙ্গের ঠাণ্ডাটা আসে উত্তর-পশ্চিমের ঠাণ্ডা হাওয়ার হাত ধরে। শীতের প্রথমদিকে পরপর দুটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ছিল। ২ জানুয়ারির পর থেকে এই ঠাণ্ডা হাওয়া আসাটা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ। কারণ সেটি দক্ষিণবঙ্গে ঢোকার আগেই আরব সাগরের দিকে চলে যাচ্ছে। যার ফলে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গেছে।”
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন পেতে রাজনীতিবিদরা যেন বেশি লম্ফঝম্ফ না করেন: প্রধানমন্ত্রী