Fraud Case: ‘সিআইডিতে আছি, চাকরি হয়ে যাবে’, রহস্য ফাঁস হতেই কপালে হাত কর্মপ্রার্থীদের
Maheshtala: মহেশতলার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূর মহম্মদ মোল্লা বলেন, "আমাকে বলেছিল চাকরি দেবে। ২৫ হাজার টাকা মাইনে। তার জন্য ৪ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিল। এসে সিআইডি কার্ডও দেখাল। এভাবে লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়। আমাকে তো বলেছিল আবগারিতে চাকরি দেবে। এরকম ৫-৬ জনের কাছ থেকে টাকা নেয়।"
কলকাতা: এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নিজেকে পরিচয় দিতেন সিআইডি আধিকারিক হিসাবে। একাধিক ব্যক্তিকে চাকরিও করে দেবেন বলেছিলেন বলে অভিযোগ। তার জন্য কারও থেকে ২ হাজার টাকা, কারও থেকে ৪ হাজার টাকাও নেন। যদিও শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, সিআইডির কার্ড দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে লালবাজার-সহ পুলিশের বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। ৫ জনের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকাও নেন বলে অভিযোগ। টাকা দিলেও পাননি চাকরি। মহেশতলা থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি।
মহেশতলার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূর মহম্মদ মোল্লা বলেন, “আমাকে বলেছিল চাকরি দেবে। ২৫ হাজার টাকা মাইনে। তার জন্য ৪ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছিল। এসে সিআইডি কার্ডও দেখাল। এভাবে লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়। আমাকে তো বলেছিল আবগারিতে চাকরি দেবে। এরকম ৫-৬ জনের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু কেউই চাকরি পাইনি। আমরা থানায় যাওয়ার আগেই ধরা পড়ে গিয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। মামার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রসপুঞ্জ এলাকায়। মামার বাড়িতেই বড় হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো সিআইডির কার্ড উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ৫ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকারও করে নেন অভিযুক্ত।
আরেক প্রতারিত নূর আলম মোল্লা বলেন, “আমাকে বলেছিল গাড়ির ড্রাইভার লাগবে। বলেছিল ডিএসপির গাড়ি চালানোর জন্য একজনকে লাগবে, আরেকজন লাগবে থানার গাড়ি চালানোর জন্য। বলেছিল আমরা সে কাজ করব কি না? সরকারি চাকরি কে না করতে চায়। এরপরই বলল ২৭০০ টাকা করে দিতে হবে। প্রথমে ২ হাজার টাকা দিই। পরে বলছে, মাইনেটা আরেকটু বাড়িয়ে দেবে আরও ২ হাজার দিলে। সিআইডিতে আছি চাকরিটা হয়ে যাবে বলেছিল।”