শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগে এবার পত্রবোমা নিয়োগপ্রার্থীর

এমডি-এম‌এস থাকা সত্ত্বেও এতগুলি পদে এমবিবিএস নিয়োগ কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের (RMO) একটি বড় অংশ।

শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগে এবার পত্রবোমা নিয়োগপ্রার্থীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 23, 2021 | 2:51 PM

কলকাতা: শিক্ষক-চিকিৎসক (RMO) নিয়োগ বিতর্কে আর‌ও বিপাকে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। এক নিয়োগপ্রার্থীর পত্রবোমা নতুন করে উস্কে দিয়েছে বিতর্ক। মেধার মাপকাঠিতে এগিয়ে থাকলেও কেন তাঁর নাম নিয়োগ তালিকায় নেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরএমও বা শিক্ষক-চিকিত্‍সক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যশিক্ষার ৪৭টি বিভাগে ৬৪৭ পদে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, এমডি-এমএস থাকা সত্ত্বেও নিয়োগে এমবিবিএসরা প্রাধান্য পেয়েছে। এ নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে।

আরও পড়ুন: রাজীব-আর্জির শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে, সিবিআইকে অপেক্ষা করতে হবে আরও দু’ সপ্তাহ

যদিও জবাবে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড জানিয়েছিল, ইন্টারভিউ বোর্ডে যাঁরা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেননি সেই সকল এমডি-এম‌এসদের‌ ইচ্ছা সত্ত্বেও সুযোগ দেওয়া যায়নি। এরপরই এক নিয়োগপ্রার্থী বোর্ডকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে ওই প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন, গত নভেম্বরে তিনি এন‌ওসি পেয়েছিলেন। মেধার মাপকাঠিতেও তিনি এগিয়ে রয়েছেন। তবুও আর‌এম‌ও নিয়োগে তালিকায় তাঁর নাম নেই কেন?

শিক্ষক-চিকিত্‍সক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্যের অধিকার আইনে বা আরটিআই আবেদন দাখিল করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। যদিও হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দাবি, তাদের তরফে কোনও গাফিলতি নেই। প্রতিটা আবেদনই খতিয়ে দেখেছেন বোর্ডের সদস্যরা। নিখুঁতভাবে গোটা প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কেউ যদি এনওসি জমা না দেয় তাঁকে কোনওভাবেই প্যানেলে রাখা সম্ভব নয়। তবে এখনও কাউকে বাতিল করা হয়নি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সবদিক খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।