AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠে আরপিএফের ‘হেনস্তা’র শিকার নার্স

পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভুল স্বীকার করলেও ছাড় মেলেনি বলে দাবি তনুশ্রীর। পরে শিয়ালদহ (Sealdah) আদালত থেকে ৭০০ টাকার বন্ডে জামিন পান তনুশ্রী।

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠে আরপিএফের 'হেনস্তা'র শিকার নার্স
নিজস্ব চিত্র।
| Updated on: Jun 04, 2021 | 6:53 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে (Staff Special Train) হেনস্তার শিকার এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। সোনারপুর আরপিএফের বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনারপুর স্টেশন চত্বর। এমনকী তাঁকে জোর করে রেল পুলিশ অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে শিয়ালদহ আদালত থেকে ৭০০ টাকার বন্ডে তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাগাম পরাতে বন্ধ লোকাল ট্রেন। শুধু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল। সেই তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী, পোস্টাল কর্মীরা। সেই ট্রেনে উঠতে গিয়েই হেনস্তার মুখে পড়তে হল একজন নার্সকে। বারুইপুর থেকে শিয়ালদহগামী স্পেশাল ট্রেনে উঠেছিলেন এনআরএসের নার্সিং স্টাফ তনুশ্রী চৌধুরী। অভিযোগ, ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় রেল কর্মীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় ওঠেন তিনি।

অভিযোগ, এরপরই নানা ভাবে তাঁকে হেনস্তা করতে শুরু করে আরপিএফ। কেন এই কামরায় উঠলেন তা নিয়ে তুমুল বচসা শুরু করেন। এরপরই ট্রেন সোনারপুর প্ল্যাটফর্মে ঢুকলে মহিলা আরপিএফ কর্মীরা তনুশ্রীকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে আরপিএফের অফিসে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: অমাবস্যার কোটালে বাংলার আকাশে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, গভীর নিম্নচাপ হলেই ফের বিপদ!

পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভুল স্বীকার করলেও ছাড় মেলেনি বলে দাবি তনুশ্রীর। পরে শিয়ালদহ আদালত থেকে ৭০০ টাকার বন্ডে জামিন পান তনুশ্রী। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিয়ালদহ আরপিএফের অফিসে ও স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁর স্বামী।

তনুশ্রী চৌধুরী বলেন, “আমি একজন নার্স। কোভিডের সময় আমাদের প্রথম সারির যোদ্ধা বলা হয়। অথচ আমি ভুল করে ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়ায় আমাকে কোর্ট অবধি টেনে নিয়ে যাওয়া হল। জামিন নিতে হল। আমি একটা ধারে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি দিনভর একটু জলও পাইনি। ডিহাইড্রেট হয়ে যায় শরীর। আমি রাতে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হই। স্যালাইন চলে। মানসিক ভাবে আমি বিধ্বস্ত।” এভাবে হেনস্তার ঘটনার পর ট্রেনে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।