Shah-Nadda in Bengal: ফেসবুক-ইউটিউবে জোর, রাজ্যে দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’কে কী বার্তা শাহ-নাড্ডার?
Shah-Nadda in Bengal: সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে।
কলকাতা: একসময় ভোট মানেই ছিল দেওয়াল লিখন। এখন সেই দেওয়াল বদলে গিয়েছে ‘ফেসবুক ওয়ালে’। বিক্ষোভে-বিপ্লবে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা যে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কারও অজানা নয়। রাজনৈতিক দলগুলিও তাই প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি মানুষের সমর্থন পেতে মরিয়া। লোকসভা নির্বাচনের আগে শাহের রণকৌশলেও গুরুত্ব পেল সেই সোশ্যাল মাধ্যম। যাঁরা স্বেচ্ছায় বিজেপির সমর্থন বাড়াতে কাজ করেন, সেই ‘সাইবার যোদ্ধা’দের উৎসাহ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেরিয়ে জানান, সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন দুই নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সাইবার যোদ্ধাদের জন্যই বিজেপি ২০১৯ সালে ভাল ফল করেছিল, ২০২১ সালে ৩ থেকে ৭৭ (বিধায়ক সংখ্যা) হওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট। এই অবস্থায় বিজেপি মনে করছে, ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহার করে শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করার মন্ত্রই দেওয়া হয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ কোটি ছুঁয়েছে। এদিন সে কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার মতো নেতাদের চ্যানেল সবাইকে সাবস্ক্রাইব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।