বুধবারের দুপুর, চলন্ত ট্রেনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন যাত্রী! মেট্রো কর্তৃপক্ষের দ্রুত তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা
Kolkata Metro: বুধবার দুপুর। মেট্রো ট্রেনের ভেতর লোকজন সংখ্যা একটু কমই। হঠাৎ যাত্রীদের চোখ গেল পাশে বসা এক সহযাত্রীদের দিকে। কপালে ঘাম তাঁর। কেমন যেন যন্ত্রণা আর অস্বস্তিতে কুঁকড়ে যাচ্ছেন প্রৌঢ়। কাউকে কিছু বলছেন না। তবে তাঁর চোখের কোণায় যেন সাহায্য পাওয়ার আর্তি। সাড়া দিলেন সহযাত্রীরাও।
কলকাতা: বুধবার দুপুর। মেট্রো ট্রেনের ভেতর লোকজন সংখ্যা একটু কমই। হঠাৎ যাত্রীদের চোখ গেল পাশে বসা এক সহযাত্রীদের দিকে। কপালে ঘাম তাঁর। কেমন যেন যন্ত্রণা আর অস্বস্তিতে কুঁকড়ে যাচ্ছেন প্রৌঢ়। কাউকে কিছু বলছেন না। তবে তাঁর চোখের কোণায় যেন সাহায্য পাওয়ার আর্তি। সাড়া দিলেন সহযাত্রীরাও। তাঁদের চেষ্টা আর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ওই যাত্রীর। হাসপাতাল থেকেই ধন্যবাদ জানালেন মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
এদিন দুপুরে ডাউন লাইন ধরা এগিয়ে আসা একটি মেট্রোয় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। তাঁকে কষ্টে কুঁকড়ে যেতে দেখে হতভম্ব হয়ে যান যাত্রীরা। সহযাত্রীকে এই অবস্থায় দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেননি তাঁরা। বরং মেট্রো রেলের একাধিক হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে থাকেন তাঁরা। সাড়া মেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই। হেল্পলাইন থেকে জানতে চাওয়া এখন কোথায় আছে ট্রেনটি। সংক্ষেপে অসুস্থ যাত্রীর বর্ণনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনে ফোন করা ওই ব্যক্তি জানান, তাঁরা এখন কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি রয়েছেন। বাকি কাজটা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষই। খবর পৌঁছয় স্টেশন মাস্টারের কাছে।
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সংশ্লিষ্ট মেট্রোটি দাঁড়াতেই ছুটে যান নিরাপত্তা কর্মীরা। খুঁজে বের করা হয় কোন কামরায় রয়েছেন ওই অসুস্থ যাত্রী। তাঁকে নিয়ে স্ট্রেচারে চাপিয়ে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তার পর সেখান থেকে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যাওয়া হয় তপন সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
চিকিৎসায় আপাতত সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে মেট্রো সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হলে বড় অঘটন যেতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
অন্যদিকে ব্যস্ত কলকাতায় সহযাত্রীদের মানবিকতার প্রশংসা করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, যেভাবে সহযাত্রীরা উদ্যোগ নিয়েছেন, একজন অসুস্থ সহযাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে তাঁদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। পাশাপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তায় সবসময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। কলকাতা মেট্রো রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষের কথায়, আমাদের যাত্রীরা এক কদম এগোলে আমরা আরেক কদম এগিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান করব। এভাবেই যাত্রীদের পাশে থেকে কাজ করে যাবে মেট্রো।
উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ ছিল কলকাতা মেট্রোর দরজা। এর আগে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময়ও মেট্রো বন্ধ ছিল বহুদিন। এখন মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে ঠিকই। তবে একদিকে যেমন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও স্বস্তিতে নিত্যযাত্রীরা। আরও পড়ুন: বিকল্প আয়ের খোঁজে ব্র্যান্ডিং হবে কলকাতা মেট্রো রেলের সাত স্টেশনের!