Anubrata Mondal: ED অফিসে পৌঁছেই মিষ্টি খাওয়ার আব্দার অনুব্রতর, বীরভূমের ‘বাঘ’ কি ‘বিষণ্ণ’?
Anubrata Mondal: আসানসোলের জেল থেকে সোজা দিল্লি। এতটা পথ পেরতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন অনুব্রত। সেটাও তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন।
নয়া দিল্লি : বয়স তো বেড়েছেই, শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা জটিলতা। তবে গত বছরের অগস্ট মাসের আগে পর্যন্ত সে সব চাপা পড়ে যেত তাঁর দাপটে। ‘বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়া’নো অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একের পর এক আইনি ধাক্কার পর এখন দিল্লিতে। বিরোধীরা বলছেন, ‘বাঘ’ নাকি এখন ‘বিড়াল’ হয়ে গিয়েছেন। দিল্লি পৌঁছনোর পর তাঁর শরীরী ভাষা বলে দিচ্ছে, কিছুটা ঘাটতি পড়েছে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মেজাজে। এদিন বিমানেও চুপচাপই ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। তবে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের পছন্দের খাবারের কথা জানাতে ভুললেন না কেষ্ট মণ্ডল।
সূত্রের খবর, দিল্লি গিয়েই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে ডায়াবেটিসের রোগী অনুব্রতর। এদিন বিমানবন্দর থেকে বের করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোজা রাম মোহন লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর নিয়ে যাওয়া হয় ইডি-র সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে নৈশভোজের পাতে দু রকম মিষ্টি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে সে ব্যবস্থা করতে পারেনি ইডি। রাতে তাঁকে রুটি,সবজি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মিনারেল ওয়াটারের বন্দোবস্তও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে এদিন ভিসতারার বিমানে যে সব খাবার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, তার সবটা খাননি তিনি। বিমানে চা, হাল্কা স্ন্যাকস খান তিনি, খেয়েছেন পেস্ট্রিও। তবে বিমানে যেন কিছুটা সঙ্কুচিত ছিলেন তিনি। অভিযুক্ত হিসেবে বিমানে নিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইলের ভিড় বোধহয় পছন্দ হয়নি তাঁর। সবাই ছবি তুলতে উঠতেই সিটের পিছনে মাথা লুকতেও দেখা যায় তাঁকে। বিমানে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেন তিনি। পরে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। কখনও আবার এসি বন্ধ করতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে মোটের পর চুপচাপই ছিলেন অনুব্রত। কথা বললেও তা নীচু স্বরে।
আসানসোল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি যাওয়ার পর রাতে আবার শুনানি। সব মিলিয়ে ধকলও নেহাত কম হয়নি। ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন যে ছবি সামনে আসে, তাতেও অনুব্রতকে দেখে বিধ্বস্তই মনে হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, সেই তেজ, সেই দাপটের কি তবে কিছুটা অভাব?