AQI: আতঙ্কের সিত্রাং ‘মিত্র’ হল তিলোত্তমার, চার মেট্রো শহরকে পিছনে ফেলল কলকাতার বাতাস
AQI: দীপাবলির দিন রাত ১টার সময় কলকাতার বাতাসের গুণমান ছিল ৪৮। বিশেষজ্ঞের মতামত সিত্রাংয়ের জন্যই কলকাতায় দীপাবলির পরে AQI এর মান ভাল ছিল।
কলকাতা: দীপাবলির পরদিনই ভারতের অধিকাংশ শহরের বাতাসের গুণমান (AQI) খারাপ হয়ে যায়। তবে এ বছর দীপাবলির পর অবিশ্বাস্যভাবে কলকাতার বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব দেওয়া উচিত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে (Sitrang)। বিগত কয়েক দশক ধরেই দীপাবলির পর থেকে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের অধিকাংশ বড় শহরগুলির বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ( Air Quality Index) ‘খারাপ’, ‘খুব খারাপ’-এ গিয়ে ঠেকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি মুম্বই বা দিল্লির মতো শহরগুলিতে। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ‘ভালো’ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে যে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল, এর ফলেই দূষণ দূর হয় শহরের আকাশ থেকে।
এদিকে সিত্রাংয়ের ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি কালীপুজোর দিন অনবরত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। এর ফলে বাতাসে ভেসে থাকা ধুলোকণা মাটিতে এসে পড়েছে। তাই বাতাসে কমেছে দূষণের মাত্রা। তাছাড়া সবুজ বাজি ছাড়া অন্য বাজির উপর নিষেধাজ্ঞার কারণেও বাতাসে কম দূষণ ছড়িয়েছে। রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সন্ধিক্ষণে দূষণ যে কারণে বেড়ে যায়, এবছর তা হয়নি আবহাওয়ার কারণেই।’
হিসেব বলছে, দীপাবলির দিন রাত ১টার সময় কলকাতার বাতাসের গুণমান ছিল ৪৮ (ভাল)। সেই একই সময় দিল্লিতে AQI ছিল ৩১৭ (খুব খারাপ), মুম্বইতে ১০৬ (সহনশীল), বেঙ্গালুরুতে ১২৬ (সহনশীল), চেন্নাইতে ১৮৯ (সহনশীল) ছিল। এরপর ভোররাত তিনটের সময় কলকাতার AQI ছিল ৪৭ (ভাল)। সেই সময় দিল্লিতে AQI ছিল ৩২৯ (খুব খারাপ)। মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইতে যথাক্রমে AQI ছিল – ১০৬, ১২৮ এবং ১৬৯। পরদিন সকাল ৬টায় কলকাতায় AQI ছিল ৪৭ (ভাল)। এদিকে দিল্লিতে সকাল ৬টায় AQI ছিল ৩৩০। মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে এই সময় AQI ছিল সহনশীল। তবে চেন্নাইতে সকাল ৬টায় বাতাসের মান ২৪৪ (খারাপ) ছিল। এরপর সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কলকাতায় বাতাসের মান ভাল ছিল। অপরদিকে দিল্লিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে বাতাসের মান ‘খুব খারাপ’ ছিল। বেঙ্গালুরু এমন মুম্বইতে এই সময়কালে বাতাসের মান ‘সহনশীল’ ছিল। চেন্নাইতে বাতাসের মান ‘খারাপ’ ছিল।