Bagtui Case: বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের
Bagtui Case: লালন শেখের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তার পা ঠেকে ছিল। সে ক্ষেত্রে গলায় ফাঁস পড়ল কী করে?
কলকাতা: বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এবার জনস্বার্থ মামলার আর্জি। কর্মরত কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের,প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী বদরুল করিম ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এবার লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন পরিবারের সদস্যরা।
লালন শেখ- বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। লালন শেখের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি ‘খুন’? লালন শেখকে খুন করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, খুন করলে কে করল, তা তদন্ত সাপেক্ষ। সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই বলছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লালন শেখ। লালন শেখের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তার পা ঠেকে ছিল। সে ক্ষেত্রে গলায় ফাঁস পড়ল কী করে?
ইতিমধ্যেই বীরভূম পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের মূল আসামি ছিল লালন শেখ। ২১ জুন সিবিআই আদালতে চার্জশিট দেয়। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে লালনেরই নাম ছিল। তবে, লালন ছিল অধরাই। ঘটনার প্রায় ৯ মাস বাদে, চলতি ডিসেম্বরের ৩ তারিখ তাকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থকে ধরে আনেন সিবিআই আধিকারিকরা। বগটুই শুধু নয়, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখে খুনের ঘটনাতেও যা ছিল সিবিআইয়ের জন্য বড় সাফল্য। কিন্তু এই লালনেরই রহস্যমৃত্যুতে এখন প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।