Bangladesh Crisis: ‘ছাত্ররা যা চেয়েছিল হয়েছে, এখনও কেন আগুন জ্বলছে? এটা তো সাধারণ মানুষ চায় না…’, চোখের চিকিৎসা করাতে এসে আনন্দপুরে আটকে রাজশাহীর বাসিন্দা
Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে ভারতে আগত এক ব্যক্তি বলেন, "পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা সুরক্ষিত রয়েছেন। তবে সুরক্ষিত অনুভব করছেন না। ছাত্র যা চাইছিল তা তো পূরণ হয়েছে। এখনও কেন এই পরিস্থিতি?"
আনন্দপুর: অশান্তির রেশ কাটেনি বাংলাদেশে। দেশ ছেড়েছেন সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী দেশের অশান্তির আঁচ যাতে না পড়ে তৎপর ভারতের প্রশাসনও। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এ দিকে, ভারতে চোখের চিকিৎসা করাতে এসে আটকে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি। সকলেরই পরিবার রয়েছে সেদেশে। চোখে মুখে কার্যত উৎকণ্ঠার ছাপ। কেউ কেউ এই পরিস্থিতিকে সমর্থন করলেও, অনেকেরই প্রশ্ন হাসিনা পদত্যাগের পরও কেন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি? কখনও তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন সেই নিয়েই উৎকন্ঠায় ভুগছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে ভারতে আগত এক ব্যক্তি বলেন, “পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা সুরক্ষিত রয়েছেন। তবে সুরক্ষিত অনুভব করছেন না। ছাত্র যা চাইছিল তা তো পূরণ হয়েছে। এখনও কেন এই পরিস্থিতি? পরিস্থিতি তো শান্ত হওয়ার কথা। কেন ভাঙচুর করছে? এখনও কেন মারপিট, দাঙ্গা হচ্ছে? আমরা সবাই শঙ্কিত।” আরও এক মহিলা বলেন, “এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আমি চিন্তিত। পরিবারের লোকজন সুরক্ষিত আছে। ঢাকার দিকে নাকি গুলির শব্দ হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আজ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতজোড় করে আগেই বার্তা দিয়েছেন যাতে কোনও রকম বিভ্রান্তমূলক পোস্ট কেউ না করেন। শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি। জনগণের পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদেরও বিতর্কিত পোস্ট থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই কড়া প্রহরায় রয়েছে এ রাজ্যের পুলিশ। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।