Kuntal Ghosh: টলি পাড়ার নির্বাচনে কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা ঢেলেছেন কুন্তল? কী বলছেন অভিনেতা বনির মা
Kuntal Ghosh: টলি পাড়ার সব থেকে বড় সংগঠন হল EIMPA। এই সংগঠনে রয়েছেন হল মালিক, পরিবেশক, প্রযোজকরা।
টালিগঞ্জ: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। এবার কুন্তলের বিরুদ্ধে উঠল নতুন অভিযোগ। টালিগঞ্জের ভোট পরিচালনাতেও নাকি হাত ছিল এই তৃণমূল নেতার। ইডি জেরায় সামনে আসছে এই রকমই একের পর এক তথ্য। সূত্রের খবর, টলি পাড়ার সব থেকে বড় সংগঠন EIMPA (ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোশিয়েশন)-র নির্বাচনে মুঠো-মুঠো টাকা খরচ করেছেন কুন্তল ঘোষ। এই সংগঠনের শীর্ষে রয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর মা পিয়া সেনগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে টলি পাড়া নিয়ন্ত্রণ করেন রাজ্যের এক দাপুটে মন্ত্রী এমনটাই অভিযোগ। কার নির্দেশে EIMPA নির্বাচনে সক্রিয় হয়েছিলেন কুন্তল? উত্তর খুঁজতে মরিয়া ইডি।
টলি পাড়ার সব থেকে বড় সংগঠন হল EIMPA। এই সংগঠনে রয়েছেন হল মালিক, পরিবেশক, প্রযোজকরা। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর নির্বাচন হয়। সেখানে পিয়া সেনগুপ্ত জয়ী হয়। EIMPA-র সদস্যদের অভিযোগ, পিয়া সেনগুপ্তকে নির্বাচিত করার জন্য কুন্তল নিজে উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠনে। সেই সঙ্গে প্রচুর টাকাও খরচ করেছিলেন তিনি। যদিও, সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নাম উঠে আসেনি। এরপর কুন্তলকে ইডির আধিকারিকরা জেরা করতেই এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, “কুন্তল তো EIMPA-র সদস্যই নয়। ও যখন বনিকে দিয়ে ছবি করাবে বলেছিল আমি তখন জানাই আপনি EIMPA-র সদস্যপদ গ্রহণ করুন। ও মেম্বার হয়নি। একজন নন-মেম্বারের পক্ষে নির্বাচন করানো কখনই করানো সম্ভব নয়। যে মানুষটা EIMPA পাতে দেয় নাকি ভাতে দেয় জানে না সে কেন টাকা দেবে? আজকে এতজন আমায় ভোট দিয়ে এইখানে নিয়ে এসেছেন। এই ধরনের কথা বলে তাঁদের ছোট করা হচ্ছে। আর এই টাকা যে কুন্তল দিয়েছে সেটা কি উনি বলেছে? সূত্রের খবর বলে ভুয়ো বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।”