DA Protest: রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আশ্বাস রাজ্যপালের, বৈঠক শেষে বেরিয়ে বললেন আন্দোলনকারীরা

D A Protest: সরকারের কাছ থেকে কোনও বার্তা না পর্যন্ত আন্দোলন-অনশন করবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

DA Protest: রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আশ্বাস রাজ্যপালের, বৈঠক শেষে বেরিয়ে বললেন আন্দোলনকারীরা
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন আন্দোলনকারীরা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2023 | 1:17 PM

কলকাতা: ডিএ (DA) জট কাটাতে এবার আসরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে একটি টুইট করে অনশনকারীদের আন্দোলন তোলার বার্তা দেন তিনি। এরপর আজ দেখা করেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। রবিবার রাজভবনে আসে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি দল। রাজ্যপালের সঙ্গে আধ ঘণ্টা কথা বলে বেরিয়ে যান তাঁরা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আবেদনও জানান তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানান, রাজ্যপাল তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত। রাজ্যপাল মধ্যস্থতা করে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন। সরকারের কাছ থেকে কোনও বার্তা না পর্যন্ত আন্দোলন-অনশন করবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আজ রাজভবন থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের সামনে আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “সরকারের সংবেদনশীলতা আপনারা দেখুন। ৩১ দিন হয়ে গিয়েছে, সরকারের তরফে একজন মন্ত্রী-আমলা এসে অনশনকারীদের খোঁজ-খবর নেয়নি। আমরা সেইটাই বলেছি। আমরা সম্মানজনক শর্তে বিষয়টির নিষ্পত্তি চাই।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি তাঁর সাংবিধানিক গন্ডির মধ্যে থেকে এই বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছেন। সরকারের যথাযথ স্তরে আমাদের বক্তব্য তিনি পাঠাবেন।” আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যপাল তাঁদের জানিয়েছেন যদি সরকার রাজি থাকলে তিনি মধ্যস্থতা করবেন।

এ দিন, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজভবনে ঢোকেন আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি দল। মনে করা হচ্ছে, অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া আন্দোলনকারীর অবস্থা রাজ্যপালকে চাক্ষুস করাতেই এই পদ্ধতি নেন তাঁরা।

এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নাম নিয়ে কোনও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই আন্দোলন করছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন একমাত্র বাংলাতেই সরকারি কর্মীরা অবসরের পর বেতন পান। হেল্থ স্কিমে লক্ষ লক্ষ টাকার ট্রিটমেন্ট করতে পারেন না। করোনার সময়ও আমাদের কর্মচারিরা সঠিক সময়ে মাইনে পেয়ে গিয়েছেন। এই সমস্ত কিছু মাথায় রাখা প্রয়োজন। বামফ্রন্টের সময় ৩৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছিল সেখানে আমাদের সরকার ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। তারপরও ১ লক্ষের বেশি টাকা পাওনা। সেই টাকা পেয়ে গেলেই মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”

প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। বিক্ষোভ-অনশনের পাশাপাশি শুক্রবার ধর্মঘটেও সামিল হন তাঁরা। যদিও কড়া হাতে এই ধর্মঘট প্রতিহত করার চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। যাঁরা শুক্রবার চাকরিতে যোগ দেননি তাঁদের সার্ভিস ব্রেক করা হবে এবং একদিনের বেতন কাটা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ জানায় বিজেপি।

এ দিকে, ৩১ দিন অনশনে অসুস্থ হয়েছেন অনেক আন্দোলনকারী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের একটিবারও খোঁজ নেয়নি বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। অবশেষে আজ তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে কথা হল। বৈঠক শেষে ডিএ আন্দোলনকারীরা বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে বঞ্চনা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদ করে তাঁরা চাইছেন সরকার দ্রুত বিষয়টি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে যেন সংবেদনশীল বার্তা পাঠায়। তাঁদের সঙ্গে যেন সহ মর্মিতা পোশন করেন। তাহলেই তাঁরা অনশন তুলে নেবেন।