পূর্ণদাস বাউলের পুত্রবধূর বিস্ফোরক অভিযোগ! আলিপুর আদালতে দায়ের হল মামলা

Alipore Court: দীর্ঘদিন ধরেই পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেছিলেন বাউল সম্রাট পূর্ণদাসের পুত্রবধূ অদিতি দাস। সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় নানা রকমের জটিলতা।

পূর্ণদাস বাউলের পুত্রবধূর বিস্ফোরক অভিযোগ! আলিপুর আদালতে দায়ের হল মামলা
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 9:36 PM

কলকাতা: প্রতারণার অভিযোগ তুললেন প্রখ্যাত বাউল শিল্পী পূর্ণদাস বাউলের (PurnaDas Baul) পুত্রবধূ। তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে ইন্টারনেট কানেকশনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, এই ব্যবসায় ৫০ শতাংশ মুনাফা তাঁর পাওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি পাচ্ছেন না। এমনকী একাধিক যন্ত্রপাতি চুরিরও অভিযোগ তোলেন তিনি।

পূর্ণদাস বাউলের ছেলের বউ অদিতি দাস। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারনেট কানেকশনের ব্যবসা শুরু করেন অদিতি। তিনজন ছিলেন তাঁর এই ব্যবসার সঙ্গী। ব্যবসা গতি পেতেই তাঁকে প্রতারণা করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অদিতির যা প্রাপ্য ছিল তা তাঁকে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। অদিতি দাস জানান, সমস্ত অভিযোগ নিয়ে প্রথমে লেক থানায় যান তিনি। কিন্তু সেখানে কোনও রকম সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই লালবাজারেও যান। তবে সেখান থেকেও কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ। এরপরই সটান আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান অদিতি।

সেখানে মামলা দায়ের করেন। আদালত আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লেক থানার পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। এদিকে আদালতের নির্দেশ আসতেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে বলে দাবি অদিতি দাসের। বৃহস্পতিবারই অদিতির বিজনেস পার্টনারদের ডেকে পাঠায় পুলিশ। যদিও অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত লভ্যাংশ পাওয়ার দাবি করেছেন অদিতি। সেই লভ্যাংশ পেতেই মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন ব্যবসার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেছিলেন বাউল সম্রাট পূর্ণদাসের পুত্রবধূ অদিতি দাস। সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় নানা রকমের জটিলতা। অদিতি দাসের কথায়, “যন্ত্রপাতি সমস্ত কিছুই আমার কনট্রোল রুমে থাকত। যেহেতু কনট্রোল রুমে যন্ত্রপাতি থাকে, সেখানেই কর্মচারীরা আসেন। আমি বেশ কিছু দিন পর জানতে পারি অল্প অল্প করে মেশিন সরানো হচ্ছে। পরে মূলত দেখি ফিডটাই চলে গিয়েছে অন্যত্র। আমি চুরির অভিযোগ জানাই এরপর। একইসঙ্গে আমাকে আমার বিজনেস পার্টনাররা কাগজপত্র ঠিকমতো দেয় না, চাইলেও আমি পাই না। দীর্ঘদিনের ব্যবসায় সামান্য লভ্যাংশ পেতাম আমি। কিন্তু কোনও কাগজ আমার কাছে আসত না। কোনও হিসাব আমি জানি না। আমি লেক থানায় অভিযোগ করি। লালবাজারে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমকে জানাই। পুলিশ এখনও অবধি কোনও পদক্ষেপ করিনি।” সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পর সব দিক খোলা রেখে তদন্ত চলছে। অদিতি দাসের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলতে পারে। আরও পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার নিয়ে অভিযোগ? বড় ঘোষণা IRCTC’র