‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেলে এবার কোভিডকে ঘায়েল করতে চাইছে রাজ্য

COVID19: স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

'হাব অ্যান্ড স্পোক' মডেলে এবার কোভিডকে ঘায়েল করতে চাইছে রাজ্য
ছবি-পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 9:57 PM

কলকাতা: তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেল (HUB and SPOKE model) অস্ত্র রাজ্যের। কোভিড শিশুদের চিকিৎসায় বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হবে এই উৎকর্ষ কেন্দ্র। তিন উৎকর্ষ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে কোভিড শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই তিন হাসপাতালকে সরকারি পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘হাব’। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ৮৯টি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) এবং ৭২টি নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট(নিকু) হল স্পোক। হাবের অন্তর্গত তিনটি উৎকর্ষ কেন্দ্র এবং স্পোকের অন্তর্গত জেলা হাসপাতালগুলিতে কী ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে তা নির্দিষ্ট করে জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা।

স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় স্বাস্থ্যভবনের যে নির্দেশনামা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ৯০ দিন থেকে ১২ বছর বয়সী মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তকে মহিলা ওয়ার্ডে মায়েদের সঙ্গে রাখা হবে। এর জন্য ১০ হাজার শয্যার পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। অন্যদিকে ১ দিন থেকে ৯০ দিন বয়সী সদ্যোজাতদের চিকিৎসায় এস‌এনসিইউয়ের ২০ শতাংশ শয্যা করোনা বেড হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩৫০ এস‌এনসিইউ শয্যা থাকছে। এ ছাড়াও তৃতীয় ঢেউয়ে পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু শয্যা থাকছে ১৩০০টি। রাখা হচ্ছে টেলি কনসালটেশনের ব্যবস্থাও। এই ঢেউ থেকে শিশুদের যাতে রক্ষা করা যায় তার জন্য ইতিমধ্যেই পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা প্রচারের উপরে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, একজন শিশুকেও সংক্রমণের বলি হতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য যা যা করার সমস্ত আয়োজনই রাখতে হবে। মা ও শিশুর পুষ্টির ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে চায় রাজ্য। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে মা ও শিশুদের জন্য। তা যেন সকলে পান, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখনও শিশুদের করোনার টিকা না এলেও অন্যান্য যে টিকা বাচ্চাদের দেওয়া হয় সেগুলি যেন অবশ্যই তারা পায় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েত দফতর, শিক্ষা দফতর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

প্রসঙ্গত ‘কোভিড-১৯ তৃতীয় ঢেউ: প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি’ নামক একটি ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নবীন ঠক্কর বলেছিলেন, “শিশুদের থেকে কখনও বড়রা সংক্রমিত হয় না, বরং উল্টোটাই হয়ে এসেছে বরাবর। সুতরাং জৈবিক কোনও কারণ নেই, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই সংক্রমিত হবে।” তবে সংক্রমণ থেকে শিশুরা যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়, এই বিষয়টিও তাঁর পর্যবেক্ষণে ছিল। আরও পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার নিয়ে অভিযোগ? বড় ঘোষণা IRCTC’র