AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Belgharia: TEXMACO-র বড় বরাতের বখরা নিয়েই লড়াই? বেলঘরিয়ার গুলি কাণ্ডে উঠে আসছে নয়া তত্ত্ব

Belgharia: ৩ মার্চ স্টেট লেভেল সিনার্জি বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, শিল্পে বাধা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেছিলেন, "যাঁরা ট্রেড ইউনিয়ন করেন, তাঁদের কাছে আমার আবেদন থাকবে, অযথা যেন কোনও সমস্যা তৈরি করা না হয়। আর এটাও বলব ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য কেউ কিছু চাইলে দেবেন না।"

Belgharia: TEXMACO-র বড় বরাতের বখরা নিয়েই লড়াই? বেলঘরিয়ার গুলি কাণ্ডে উঠে আসছে নয়া তত্ত্ব
বাঁ দিকে গুলিবিদ্ধ, ডান দিকে আটক ব্যক্তিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2025 | 6:08 PM
Share

কলকাতা: বেলঘরিয়ায় গুলিচালনার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। তৃণমূল নেতা আগেই দাবি করেছিলেন প্রণয়ঘটিত কারণে গুলি চলেছে। কিন্তু এবার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং অভিযোগ করলেন, বেলঘরিয়ার শিল্পসংস্থা TEXMACO-র বখরার লড়াই, ঠিকাদারি পাওয়ার যুদ্ধের জেরেই গুলি চলেছে। TEXMACO-তে চমকানি ধমকানি চলছে, সেকথা অবশ্য অস্বীকার করেননি স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রও। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও বেলঘরিয়ায় শিল্পে বাধা? উঠছে সে প্রশ্নও।

৩ মার্চ স্টেট লেভেল সিনার্জি বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, শিল্পে বাধা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা ট্রেড ইউনিয়ন করেন, তাঁদের কাছে আমার আবেদন থাকবে, অযথা যেন কোনও সমস্যা তৈরি করা না হয়। আর এটাও বলব ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য কেউ কিছু চাইলে দেবেন না।”

আর ঠিক পরেই ৮ মার্চ সন্ধ্যায়, বেলঘরিয়ার উত্তর বাসুদেবপুর এলাকায় চায়ের দোকানে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল শ্রমিক নেতা বিকাশ সিং। অভিযোগের আড়ালে একটা ‘হিন্ট’ দিয়েছেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, “টেক্সম্যাকোতে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক বরাত দিয়েছে। টাকা কীভাবে লুঠ করতে হবে, কীভাবে পেতে হবে, কীভাবে তোলা তুলতে হবে, গাড়ি যখন আসবে, তার থেকে পয়সা নিতে হবে, এই নিয়ে গন্ডগোল।”

সত্যিই কী তাই? অর্জুন সিংয়ের কথা না মানলেও টেক্সম্যাকোতে হুজ্জুতির কথা স্বীকার করছেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাই বলেন, “এই ওয়ার্ডে যখন তখন বাইরে থেকে লোক এসে ঝামেলা করছে। কেউ হয়তো খড়দা থাকেন, কামারহাটি থাকে, তারা এসে ঝামেলা করছে।”

টেক্সম্যাকো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মদন মিত্র। সহ সভানেত্রী কাউন্সিলর নির্মলা রাই। গুলিবিদ্ধ বিকাশ সিং টেক্সম্যাকোর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। তাহলে কি এলাকা দখল নিয়েই গুলি খেতে হল? কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “টেক্সম্যাকোকে ঘিরে নানা রকম নোংরামি চলছে। মারব-ধরব, পুলিশকে থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। টেক্সম্যাকোর অফিসারদেরও চমকানো হচ্ছে।”

২০২২ সালে টেক্সম্যাকোকে ৬ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার বরাত দেয় রেলওয়ে। ৩৯ মাসে ২০ হাজার ওয়াগন তৈরির বরাত দেওয়া হয়। টেক্সম্যাকোর ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় বরাত! এই বরাতে কোম্পানির শ্রমিকদেরও অনেকটাই লাভ হয়েছে।

কিন্তু সেই শিল্প নিয়েই কেন এত টানাটানি, রক্তারক্তি? পুলিশ প্রশাসন কী করছে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “সিঙ্গুরে উনি সরষের বীজ ছিটিয়েছিলেন, বাংলার মানুষ এখন শিল্পে সরষে দেখছে!  শিল্পপতিরা পুঁজি সরিয়ে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে।”