‘ভবানীপুরে বিধায়ক নির্বাচনের লড়াই নয়, তাতে তো উনি আগেই হেরেছেন’, মমতার সঙ্গে সম্মুখসমরে প্রিয়াঙ্কা
Bhawanipur Assembly By-election 2021: পাল্টা কটাক্ষ ফিরহাদের, 'এটা কে? খায় না মাথায় দেয়?'
কলকাতা: একুশের উপনির্বাচনও হাই ভোল্টেজ। একটি মাত্র কেন্দ্র! তবু নাম যখন ভবানীপুর, তখন বোঝাই যাচ্ছে লড়াই কতটা জোরাল হতে চলেছে। তৃণমূলের প্রার্থী এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি মুখ করেছে তাঁদের ‘লড়াকু’ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। নাম ঘোষণার পরই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রিয়াঙ্কা বলেন, এই ভোট কোনও বিধায়ক নির্বাচনের ভোট নয়। তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো মানুষ ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। যার জন্য গত পাঁচ মাস ধরে বিজেপি লড়ছে।
প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরই প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “মাথায় রাখতে হবে, এটা কোনও বিধায়ক নির্বাচনের লড়াই নয়। কারণ বিধায়ক হিসাবে ওনাকে তো ইতিমধ্যেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। উনি তো নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন। যদি উনি ভেবে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী পদটা ধরে রাখার জন্য এই লড়াই দরকার, তা হলে আমি মানুষকে বলব এ লড়াই গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। যে কারণে আমি এতদিন ধরে লড়ছি। আমি চাইব মানুষও এবার নিজেদের জবাব নিজেদের মতো করেই দিন।”
প্রসঙ্গত ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপির হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলায় সওয়াল করেছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বিজেপির মতে, প্রিয়াঙ্কার লড়াই-ই তাঁদের অভিযোগকে আদালতের কাছ থেকে মান্যতা এনে দিয়েছে। রাজ্য সরকার বার বার যেখানে দাবি করেছে, ভোটের পর বাংলার কোনও হিংসা হয়নি, সেখানে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, সরকার সত্যিকে অস্বীকার করে গণতন্ত্র ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে শেষ করছে। কলকাতা হাইকোর্ট সে কারণেই ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই ও সিট গঠন করেছে।
#BREAKING | ঘোষণা হল সমশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থীর নামও। জঙ্গিপুর থেকে পদ্মের প্রতীকে লড়ছেন সুজিত দাস। সমশেরগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষ।
সব খবর বিস্তারিত: https://t.co/WHPSwzYdl8@BJP4Bengal | @AITCofficial | #TV9Bangla pic.twitter.com/u8a79Kwron
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) September 10, 2021
এদিন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “আমি শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়াই করে যাব। মানুষ শুধু বিশ্বাস রাখুক। আমি গত পাঁচ মাসে মানুষের যে আশীর্বাদ পেয়েছি, তাতে বুঝতে পারছি মানুষ চাইছেন, আমাদের মতো ইয়ং জেনারেশন এগিয়ে আসুক, যারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।” দোরে দোরে ভোট প্রচারে বেরোনোর আগেই ভবানীপুরবাসীর কাছে প্রিয়াঙ্কা আবেদন রেখেছেন, “নন্দীগ্রাম যা করে দেখিয়েছে, এবার ভবানীপুরকেও তা করে দেখাতে হবে। যদি পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হয় তা হলে এটাই একমাত্র উপায়। যখন এখানে হিংসা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী গোটা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কেন বললেন কিছু হয়নি? এত ধর্ষণ, খুন! তবু উনি শান্ত ছিলেন। উনি বলেছিলেন, ‘কিছুদিন পরে বুকে লিখে ঘুরতে হবে আমি বিজেপি করিনি’। ওনাকে আমি বলব, আমাদের বুকের ভিতরে বিজেপি লেখা রয়েছে। সেটা আপনি বললেও বদলাবে না। আমরা ভয় পাই না।”
এদিকে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রার্থী পদ নিয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা কে? খায় না মাথায় দেয়? তাঁর সমাজে কী অবদান রয়েছে? কোনও দিন কি কাউন্সিলার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? কোনও দিন কি পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছেন? মানুষের সঙ্গে কী যোগাযোগ রয়েছে? একজনকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিলাম, আর অল ইন্ডিয়া পার্টি হইহই করলাম তাতে যে ভোট হয় না তা তো দেখেছেন।”
২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এক সময়ে বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৫ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পুরসভার ভোটে। ২০২১ সালে ফের প্রার্থী হন বিধানসভা ভোটে। এন্টালিতে দাঁড়ান তিনি। যদিও তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে পরাজিত হন। তবু উপনির্বাচনে ভবানীপুরে তিনিই দলের ভরসা।
আরও পড়ুন: Exclusive Rudranil Ghosh: কেন প্রিয়াঙ্কা? কেন হারলেন? ভবানীপুরে প্রার্থীর নাম শুনে ব্যাখ্যা রুদ্রর