School Fee: অবিলম্বে বকেয়া স্কুল ফি-র ৫০ শতাংশ জমা করতে হবে, কড়া নির্দেশ জারি আদালতের

School Fee kolkata High Court: ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি হলেও সরকারি চাকুরে যারা, এবং যাদের সামর্থ আছে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া উচিত।

School Fee: অবিলম্বে বকেয়া স্কুল ফি-র ৫০ শতাংশ জমা করতে হবে, কড়া নির্দেশ জারি আদালতের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 5:03 PM

কলকাতা: বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বকেয়া ফি জমা করার জন্য এ বার ডেডলাইন বেঁধে দিল হাইকোর্ট। স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে পড়ুয়াদের বয়েকা ফি এখনও বকেয়া রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। তবে আদালতের কঠোর নির্দেশ, যে সকল পরিষেবা লকডাউন চলাকালীন স্কুল দিতে পারেনি, সেই সংক্রান্ত কোনও ফি-ও নেওয়া যাবে না।

আদালতের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় নির্দেশ, আবার দু’সপ্তাহের মধ্যে হিসেব-নিকেশ বুঝে নিয়ে কাদের কত টাকা বয়েকা, স্কুল কর্তৃপক্ষ তার তালিকা দেবে আদালতকে। পাশাপাশি অভিভাবকরা স্কুল ধরে ধরে তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাবেন। হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি হলেও সরকারি চাকুরে যারা, এবং যাদের সামর্থ আছে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া উচিত। আবার স্কুল এই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও যদি বর্তমান বছরে ফি বাড়িয়ে থাকে, তা নিয়েও পৃথক শুনানি হবে। আগামী ১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার মধ্যে সব পক্ষ তাদের হলফনামা জমা দেবে।

সূত্রের খবর, আদালতের কাছে অভিযোগ এসেছে যে বেসরকারি স্কুলগুলি যে সমস্ত পরিষেবা দিচ্ছে না, তারও পরিষেবা বাবদ করে মাসিক ফি হিসাবে ধার্য করে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে বিদ্যালয়গুলিতে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সেই বিল অভিভাবকদের কাছে পাঠাতে হবে। কী সংক্রান্ত ফি নেওয়া হচ্ছে, সেটাও উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, গত শিক্ষাবর্ষের পরিকাঠামো অনুসরণ করেই এই বছর ফি ধার্য করতে হবে স্কুলকে।

অভিভাবকদের একাংশ এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলা চলে। কারণ অভিভাবকদের অনেকেই অনলাইন ক্লাসের ফি জমা দিতে প্রস্তুত থাকলেও তাঁরা বাড়তি কোনও পরিষেবার খরচ দিতে চাননি। বিশেষ করে যে পরিষেবা পাওয়াই যায়নি, তার কোনও ফি দিতে নারাজ। আদালতও আজ বিষয়টা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে যে পরিষেবা মেলেনি, তার টাকা নেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন: মমতার ‘গড়ে’ বিজেপির ‘তারকা প্রচারক’ শুভেন্দু, থাকবেন স্মৃতি-রূপা-লকেটরাও

পাশাপাশি এই রায় বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকেও স্বস্তি দেবে। বিশেষত যে সমস্ত অভিভাবকেরা অনলাইন ক্লাসের স্কুল ফি না মেটানোয় স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে,  সেই অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, যদি মোট স্কুল ফি-র ৫০ শতাংশ না মেটানো হয়, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আদালতের সাফ কথা, করোনা ও লকডাউন আবহে যেমন বহু পরিবারের অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে, তেমনই স্কুলগুলি চালানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক যে বহু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা সরকারি চাকরি করছেন এবং সচ্ছলতা রয়েছে, তাঁরাও ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন দিচ্ছেন না। অথচ বেতন দেওয়া ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে তাঁরা অর্থ খরচ করছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগের।

আরও পড়ুন: মহানগর ও লালবাতির মহল্লা: ৪৩টি বেশ্যালয়ের মালিক ছিলেন খোদ প্রিন্স দ্বারকানাথই! কীভাবে গড়ে উঠল সোনাগাছি?