Bibhas Adhikari: ‘আশ্রম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন পার্থ’, মানিকের সঙ্গে যোগ থাকার কথাও স্বীকার বিভাসের
Bibhas Adhikari: মঙ্গলবার দুপুরে বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে দেখা যায় ইডিকে।
কলকাতা: বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তল্লাশি নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন বিভাসের দাবি, তিনি নিজেই আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ইডি-র একটি টিম। দীর্ঘক্ষণ বিভাসকে নিয়েই চলে তল্লাশি। আর তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভাস বলেন, “আমরাই আবেদন করেছিলাম। আমার আশ্রমের নামে থাকা ফ্ল্যাট সিল করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা খোলার আর্জি জানিয়েছিলাম আমি।” একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একাধিক অভিযুক্তের মুখো শোনা গিয়েছে বিভাস অধিকারীর নাম। তাপস মণ্ডলও তাঁর কথা সামনে এনেছিলেন। এরপরই কলকাতায় তাঁর একটি ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছিল ইডি।
বিভাসের দাবি, ফ্ল্যাট যাতে খুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জিই তিনি জানিয়েছিলেন ইডি-কে। সেই মতো ইডি তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন ফ্ল্যাটে এসেছে বলে উল্লেখ করেছেন বিভাস। বিভাস বলেন, “মিশনের ফ্ল্যাট আমাদের না জানিয়ে বন্ধ করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেটা ঠিক করেননি। আমি আমার ও আমার পরিবারের সব অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছি, আশ্রমের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছি। যদি মনে করেন আমার কোনও দোষ আছে, আমি চাকরি দিয়েছি এমন কোনও লিস্ট যদি খুঁজে পান, তাহলে আমি সারাজীবন জেলে থাকব।”
তবে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও রকম যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিভাস অধিকারী। বীরভূমের নলহাটিতে রয়েছে বিভাসের মালিকানাধীন বি.এড কলেজ। বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন বিভাস। এদিন বিভাস দাবি করেন, বি.এডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হলে সাহায্য করতেন মানিক। তাঁর কলেজের ৩-৪ জনকেও অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি বিভাসের। তার বিনিময়ে কি টাকা নিতেন মানিক ভট্টাচার্য? বিভাসের দাবি, তিনি কোনও টাকা দেননি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভাস আরও জানান, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বীরভূমে তাঁর আশ্রম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বিভাস বলেন, “আমি আশ্রম উদ্বোধন করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। উনি যেতে পারেননি। চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, মন্ত্রীকে পাঠাবেন। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছিলেন মমতা।” আর এতেই নাকি এলাকার মানুষ তাঁর সঙ্গে পার্থর ভাল সম্পর্কের কথা ভাবতেন বলে দাবি বিভাস অধিকারীর। তাঁর আশ্রমকে বদনাম করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিভাস অধিকারীর।