Bidyut Chakrabarty: ‘পারিবারিক সমস্যা মেটাতে পারেন না’, যাদবপুরের অধ্যাপক মনোজিৎ-কে মেইল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

Bidyut Chakrabarty: মনোজিৎ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রথমে তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, যে সত্যিই উপাচার্য আমাকে মেইল করেছেন।'

Bidyut Chakrabarty: 'পারিবারিক সমস্যা মেটাতে পারেন না', যাদবপুরের অধ্যাপক মনোজিৎ-কে মেইল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
মনোজিৎকে মেইল বিদ্যুতের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 8:11 PM

কলকাতা: বিশ্বভারতীর বিতর্কের আঁচ এবার এসে পৌঁছল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) ও অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের তরজা সম্প্রতি শিরোনামে উঠে আসে। জমি বিতর্কে যেভাবে অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর তরফে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিভিন্ন মহল। এবার সেই উপাচার্যের মেইল এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের কাছে। শাসক দলের অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মনোজিৎ মণ্ডল সম্প্রতি বিশ্বভারতীর জমি বিতর্ক তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। তৃণমূল মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরই মধ্যে এল উপাচার্যের মেইল। পাল্টা জবাবও দিয়েছেন মনোজিৎ।

মনোজিতের অভিযোগ, বিদ্যুৎবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরই এবাবে মেইল করা হয়েছে তাঁকে। শুধুমাত্র সেই ইস্যুই নয়, বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী ওই মেইল তাঁকে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেছেন বলেও দাবি মনোজিতের। মনোজিৎ মণ্ডলের কাছে যে মেইল এসেছে, তাতে লেখা, আমি জানি আপনি আপনার পারিবারিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন না। আর সেটাই মনোজিতের মানসিক সমস্যার কারণ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মেইলে আরও লেখা রয়েছে, ‘আপনি কেন আপনার জিনিসটি ফেরাতে চ্যাটার্জি-র কাছে যাচ্ছেন না?’ শুধু মনোজিৎ নয়, যাদবপুরের উপাচার্যের কাছেও সেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এমন একটি মেইল এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এই মেইল পাওয়ার পরই জবাব দিয়েছেন মনোজিৎ মণ্ডল। তাঁর দাবি, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে চেয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মেইলের শুরুতেই তাই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করার জন্য জবাব দিয়েছেন মনোজিৎ। তাঁর দাবি,জমি বিতর্কে দলের অন্যান্য নেতারা যা বলছেন, তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে তিনিও সেটাই বলছেন।

মনোজিৎ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথমে তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, যে সত্যিই উপাচার্য আমাকে মেইল করেছেন। উনি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ওঁর তো অনেক কাজ। আমি একজন সাধারণ অধ্যাপক, আমি কী বললাম, তার জন্য মেইল করেছেন উনি!’ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।