BJP and RSS: বাংলার ভোট নিয়ে আজ থেকে তৈরি হচ্ছে RSS-র ব্লুপ্রিন্ট, প্রয়োগ হবে ‘দিল্লি মডেল’?
BJP and RSS: শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হাওড়ার উলুবেড়িয়া তাঁতিবেড়িয়ার সারদা শিশু মন্দিরে শুরু হয়েছে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ১১ দিনের বঙ্গ সফরে এই সমন্বয় বৈঠক হওয়া নিয়ে চর্চা হয়েছিল।

উলুবেড়িয়া: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আরও বছর খানেক বাকি। তবে এখন থেকেই ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফলের জন্য বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) নিজেদের মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়াতে বৈঠক বসল। শনিবার থেকে শুরু হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পূর্ব ক্ষেত্রের সমন্বয় বৈঠক। আজ এবং আগামীকাল (রবিবার) দু’দিন ধরে চলবে এই বৈঠক।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হাওড়ার উলুবেড়িয়া তাঁতিবেড়িয়ার সারদা শিশু মন্দিরে শুরু হয়েছে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ১১ দিনের বঙ্গ সফরে এই সমন্বয় বৈঠক হওয়া নিয়ে চর্চা হয়েছিল। তারপরই এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। যা আজ শুরু হয়েছে।
যেখানে সঙ্ঘের মনোভাবাপন্ন ৫৭টি সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, সিকিম, আন্দামান নিকোবর সঙ্ঘের নেতৃত্ব রয়েছেন। বৈঠক রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, অমিত মালব্য, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ সহ বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব।
এত বৃহৎভাবে সমন্বয় বৈঠক ২০১১ সালের পরে এই প্রথম হচ্ছে। গত ১০-১২ বছরে দু-একবার এই বৈঠক হওয়া নিয়ে চর্চা হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। সেইসঙ্গে আগামিদিনে কী কী কর্মসূচি করা যায়, কীভাবে এগোলে ভাল হয়, কোন কোন বিষয় নিয়ে কর্মসূচি নেওয়া যায়, এইসব নিয়ে আলোচনা চর্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কোন পথে এগোনো যায়, তা নিয়েও একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সঙ্ঘ এবং বিজেপি নেতৃত্ব। ছাব্বিশের নির্বাচনে হিন্দুত্বের উপর ভর করেই যে ভোট বৈতরণী পার হতে চায় বিজেপি, ইতিমধ্যেই সেই মনোভাব স্পষ্ট বঙ্গ বিজেপির সমস্ত পর্যায়ের নেতৃত্বের। এই আবহে আরএসএস আর বিজেপির মধ্যে যাতে আরও সমন্বয় বাড়ানো যায়, বোঝাপড়া আরও ভাল করা যায়, তার সুতো বাঁধা হবে এই বৈঠক থেকেই।
বিজেপি ও আরএসএসের এই সমন্বয় বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, দিল্লির নির্বাচনের মতো বাংলার ভোটেও সক্রিয় হতে পারে আরএসএস। দিল্লি নির্বাচনের আগে জনমতকে এক জায়গায় আনতে আসরে নেমেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। দিল্লিকে আটটি বিভাগে ভাগ করে প্রচারে নেমেছিল। বাংলার ভোটে সেই ‘দিল্লি মডেল’ দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।





