BJP Bengal: ভিতরে শুভেন্দু, বাইরে সুকান্ত, মাথায় দিলীপ- বিজেপির ‘ঘরে-বাইরে’ কৌশল
Sukanta Majumdar: আজ বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে ছিলেন মোট শুভেন্দু অধিকারী সহ মোট ৬৪ জন বিধায়ক। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
কলকাতা: বিধানসভায় বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দলের বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দিল রাজ্য নেতৃত্ব। শাসক দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাই বলা হল বিধায়কদের। পাশাপাশি, যাঁরা দল বদলেছেন তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমবার পরিষদীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে ঘরে বাইরে কোন কৌশলে এগোবে বিজেপি, সেই বার্তাই দিলেন সুকান্ত। তিনি বোঝালেন বিধানসভায় দায়িত্ব সামলাবেন শুভেন্দু, আর বাইরে তিনি। অবশ্যই সবার ওপরে রাখলেন দিলীপ ঘোষকে। আজ দলের সব বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় বৈঠক করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এ ছাড়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৫৪ জন বিধায়কও যোগ দিয়েছিলেন এই বৈঠকে।
এ দিন বিধায়কদের বার্তা দিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘বিধানসভার বাইরে আমি আর ভিতরে শুভেন্দু অধিকারী। আর সবার ওপরে রয়েছেন দিলীপ দা। এভাবেই আমাদের এগোতে হবে।’ আগামিদিনে রাজ্যে বিজেপি কোন কৌশল নিয়ে এগোবে, সেই ব্যাপারেই বার্তা দেওয়া হয়েছে এ দিন। পাশাপাশি, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যারা দল ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন, তাঁদের সঙ্গে বসতে চান তিনি। তবে শৃঙ্খলার প্রশ্নে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’ গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বৈঠকে তাঁদের বার্তা দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari ) বলেন, ‘বিধায়করা যদি দল ছেড়ে যান, তাহলে তাঁরা ভাববেন না যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।’ আজই দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী (Krishna Kalyani)। সেই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এ দিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস যারা ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি ও আদর্শ নিয়ে দলে এসেছেন, তাঁরা অবশ্যই থাকবেন।’ বিজেপি ছেড়ে দল বদলানো বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি পারলে ফিরে আসুন।’ তবে যাঁরা ফিরবেন না তাঁদের বার্তা দিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বেশি দিন বাঁচা যায় না, বৃহত্তর স্বার্থে বাঁচতে হয়।’
এ দিনের বৈঠকে মোট ৬৪ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না ৬ জন বিধায়ক। ৬ জনের মধ্যে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী আজই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া ছিলেন না অগ্নিমিত্রা পাল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি সুকুমার রায়, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নীরজ জিম্বা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যাওয়া উপস্থিত হতে পারেননি দিবাকর ঘরামি।
এ দিকে, সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা জানান তিনি। সম্প্রতি দলে থেকেও বেসুর বাজতে শুরু করেছিলেন এই বিধায়ক। তাঁকে শোকজও করেছিল পদ্ম শিবির। এরপর শুক্রবার শেষে দল ছাড়েন বিজেপি বিধায়ক। সাংবাদিক বৈঠকে রায়গঞ্জের সাংসদ প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করে অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, সাংসদ হওয়ার দেবশ্রী এলাকা থেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছেন। এমনকী দেবশ্রী তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: Duare Ration: ‘পুজোর সময় কাঁধে করে মাল বইবে কে?’ দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ‘না’ রেশন ডিলার সংগঠনের