BJP-র আশঙ্কা, এবার করোনা সংক্রমণের জন্য না প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে TMC!

BJP on Corona Situation: রবিবার সাংবাদিক বৈঠক শমীক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, 'রাজ্যে নতুন করে যে ভাবে করোনা দেখা যাচ্ছে, হতে পারে, ক'দিন পরে তৃণমূল কংগ্রেস বলবেন যে প্রধানমন্ত্রী দায়ী'।

BJP-র আশঙ্কা, এবার করোনা সংক্রমণের জন্য না প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে TMC!
দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে রাজ্যে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 6:46 PM

কলকাতা: গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা (Corona) সংক্রমণ হু-হু করে বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষা বেশি হতেেই কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যাও উদ্বেগে রাখছে প্রশাসনকে। আর এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC) একহাত নিল বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলের দাবি, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। আবার নিজেদের ব্যর্থতার দায় তারা কেন্দ্রের দিকে ঠেলতে পারেও বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্য় বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক শমীক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, ‘রাজ্যে নতুন করে যে ভাবে করোনা দেখা যাচ্ছে, হতে পারে, ক’দিন পরে তৃণমূল কংগ্রেস বলবেন যে প্রধানমন্ত্রী দায়ী’। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর সময় মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে জনপ্লাবন সবাই দেখল। স্বাভাবিক ভাবে চিকিৎসকরা যাও আশা করেছিলেন তাই হচ্ছে।

একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যে রাজনৈতিক দল হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন করে, এত মানুষকে খুন করে বাড়িতে আগুন দেয় পুকুরে বিষ মিশিয়ে দেয়। তারা এমন করতে পারে।

এদিকে এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনিও পরোক্ষে মেনে নেন যে উৎসবের মরসুমে কিছুটা হলেও করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,  আমরা উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছি। তার পর ভুলে গিয়েছি। ভুলে যাওয়া ভাল। তবে নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। তিনি দাবি করেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সবাইকে শারীরির দূরত্ববিধি মানা ও মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন মমতা। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে আবার কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সদ্যই দেশে ১০০ কোটির টিকাকরণে নজির গড়েছে ভারত। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলাকে ভ্যাকসিন নিয়েও বঞ্চনা করা হচ্ছে। বলেন, “শিলিগুড়িতে, কলকাতায় আমরা টিকা দিচ্ছি। বাংলায় টিকা দিচ্ছি। কাজটা করে ঢাক বাজান। সাত কোটি টিকা দিয়েছি। দরকার ১৪ কোটি। আমায় দেওয়া হয়নি। বাকিটা লোককে জানতে হবে। সত্যিটা কী জানা দরকার। ১৪ কোটি দরকার, পেলাম সাত কোটি। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে আবার ১৮ প্লাস ডবল ডোজ পেয়েছি কত? দেশে ঢেঁড়া পেটাচ্ছে একশো কোটির? দুটো ডোজ না হলে সম্পূর্ণ টিকা হয় না। আমি একশো শতাংশ করে দেব।”

তিনি আরও বলেন, “মহারাষ্ট্র বেশি পেয়েছে টিকা। বাংলা বাংলা ছাগলের তিন নাম্বার ছানা! আমার জনসংখ্যা বেশি। কেন টিকা পাব না? ভ্যাকসিন কিনে বিনা পয়সায় দিয়েছি। এদিকে একটা করে সার্টিফিকেট দিচ্ছে (কেন্দ্রীয় সরকার)। যত মারা গেল, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি দেবে তো?” অন্যদিকে শনিবার খড়দহ থেকে বাংলার করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোটে রাজ্যে আসা ‘বহিরাগতদের’ নিশানা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: নন-এসি হল অতীত, কলকাতা মেট্রোর জন্মদিনে গীতা পাঠে বিদায় পুরনো রেককে