BJP: ক্যাগ রিপোর্টকে হাতিয়ার বিজেপির, সরগরম হতে চলেছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন
BJP: শনিবার বিজেপির সল্টলেকের রাজ্য অফিসে রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে বৈঠক। ঠিক হয় রাজ্যে একটি প্রার্থী দেবে বিজেপি। সুকান্ত, শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানেই রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের এক হাত নিতে দেখা যায় পদ্ম নেতাদের।
কলকাতা: টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই বকেয়া নিয়ে লাগাতার সুর চড়াচ্ছে শাসকদল। রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যুত্তরে সুদীপকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে এনে ফেলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর দাবি, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব দেয়নি রাজ্য। পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। এ সব তথ্যই রয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। যা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। যদিও মমতা বলছেন টোটাল মিথ্যা কথা। এবার এই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সরব হতে চলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্য সরকারের কারণে কীভাবে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে তা নিয়ে সরব হতে চলেছে পদ্ম শিবির।
শনিবার বিজেপির সল্টলেকের রাজ্য অফিসে রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে বৈঠক। ঠিক হয় রাজ্যে একটি প্রার্থী দেবে বিজেপি। সুকান্ত, শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানেই রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের এক হাত নিতে দেখা যায় পদ্ম নেতাদের। শুভেন্দু বলেন, ক্যাগের রিপোর্ট বিধানসভায় যাতে দেওয়া হয় সেই দাবি তো আমরা করবই। আর যে ভাষায় ওরা কথা বলবে সেই ভাষায় আমরা বলব। মানুষের কথা না বলা হলে যেমন ভাবে বলা উচিত আমরা বলব।
অন্যদিকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর দাবি, ফসল বীমা যোজনায় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। যাদের ফসল বীমা যোজনা যাদের পাওয়া কথা রাজ্য সরকারের কাছ তারা পাচ্ছেন না। কারণ, তৃণমূল জন্য টাকা পাচ্ছেন না তারা। তিনি এও বলছেন, আমরা এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চাইব। জনস্বার্থ মামলা করে আমরা সিবিআই চাইব। তাঁর দাবি ২৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
সামনেই রাজ্যে বাজেট। তার আগে বিধানসভা অধিবেশন ক্যাগ নিয়ে বিজেপি সরব হলে ফের যে রাজনৈতিক মহলে অস্থিরতা বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রের খবর, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে পারেন পদ্ম বিধায়করা। একইসঙ্গে বাংলার মানুষ কেন আয়ুষ্মান ভারত-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না তা নিয়েও আওয়াজ তুলতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।