Bengal BJP: ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে চাপ! দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি নেতার

Bengal BJP: অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর সাউকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিজেপির সদর দফতরে। তাঁর সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ।

Bengal BJP: ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে চাপ! দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি নেতার
(উত্তম সাউ)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2023 | 9:49 PM

কলকাতা : দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় অপসারণ করা হয়েছে মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে। বিজেপির (BJP) এক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সভাপতি বিরুদ্ধে উঠল এমনই অভিযোগ। একদিকে যখন বিধায়কের দলত্যাগ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে, তখন বিজেপির অন্দরে উঠল আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। টাকা চেয়ে চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলে সটান রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠি লিখেছেন উত্তম সাউ নামে ওই বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তা দিতে না পারাতেই নাকি মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জেলাস্তরের এক নেতা ও রাজ্যস্তরের এক নেতার বিরূদ্ধে আঙুল তুলেছেন অভিযোগকারী নেতা। তিনি উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলা বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার ৫ নম্বর মণ্ডলের সদ্য অপসারিত সভাপতি উত্তম সাউ লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। চিঠিতে উত্তম সাউ- এর অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও সম্পাদক তাঁর কাছে প্রথমে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। আরও অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির এক সাধারণ সম্পাদকের চাপেই নাকি ওই টাকা দাবি করা হয়েছিল।

উত্তম চিঠিতে লিখেছেন, ‘ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় ও পরিবারিক আর্থিক অনটনের জন্য ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হই। টাকার দাবি নিয়ে প্রবল চাপ পূরণে আমি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম। পরবর্তীকালে তাঁরা কমিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতেও আমি ব্যর্থ হই। তারপরই আমায় দল থেকে বিতাড়ণের হুমকি দেওয়া হয়।’

উত্তম সাউ-এর দাবি, গত ৫ ফেব্রুয়ারি উত্তর শহরতলি জেলার কার্যকারিণী বৈঠকের দিন রাতে তিনি জানতে পারেন মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই নেতার অভিযোগ, নেতাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, দলের প্রতি আনুগত্য দেখাতে গেলে আমার কাজ বড়, নাকি টাকা?

এই অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর সাউকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিজেপির সদর দফতরে। তাঁর সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। কথা বলার পর বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘বলা হয়েছিল সভাপতির পদ রাখতে গেলে টাকা দিতে হবে। আমি দিতে পারিনি। ৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।’ তাঁর দাবি, জেলা সভাপতিকে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলেই রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তবে এদিন কোনও সুরাহা হয়নি বলেই দাবি উত্তমের।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এভাবে বিজেপিতে সভাপতি পদ পাওয়া যায় না। যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। চিঠি এভাবে বাইরে প্রকাশ করে তিনি দল বিরোধী কাজ করেছেন।’