কোভিড সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজ্য, অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছেন মোদী: শমীক
বিজেপির দাবি, কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা: বঙ্গে ঝড়ের গতিতে বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের মাঝে বুধবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যে পালটা আক্রমণে শান দেয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্য সরকার ভ্যাকসিনের সঠিক ব্যবহার করেনি। একই সঙ্গে বিজেপির দাবি, কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির তোপ, ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রেখে টিকাকরণ নিয়ে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং তা বণ্টন নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ তুললেও তা ভিত্তিহীন বলে এ দিন দাবি করেছে বিজেপি। যত সংখ্যক ভ্যাকসিন প্রথম দফায় এসেছিল, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোভিড নিয়ে কোনও বৈঠকও করেননি মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই অতিমারির সময় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যে সমন্বয় প্রয়োজন ছিল, তাও পাওয়া যায়নি বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: ‘এটা কি ব্যবসা করার সময়?’ ভ্যাকসিনের দামের ফারাকে ক্ষুব্ধ মমতা, চিঠি দেবেন মোদীকে
রাজ্যে প্রথম দফায় করোনার প্রকোপ কম হওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড বেড ও সেফ হোমের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এমনটা কেন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় বিজেপিকে। “আইসিইউ কেন কমে গেল, কে এই দায়িত্ব নেবে”, প্রশ্ন শমীকের। জবাব দিয়ে তিনি নিজেই বলেন, “আসলে গত ৬ মাস ধরে এই সরকার নিজেদের সম্পূর্ণ মনোযোগ নির্বাচনে দিয়ে রেখেছে। ভোটের বাইরে এই দল কিছু বোঝে না।” তাঁর আরও সংযোজন, “কোভিড প্রতিরোধে সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। এই ব্যর্থতা ঢাকতে এখন কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মদন মিত্র ভাল আছেন, জানালেন চিকিৎসকরা