Bengal BJP: ‘সাংসদের মত নয়, কিন্ডার গার্টেনে শিশু পড়ানোর মতো ওনার কথা’, অভিষেককে কটাক্ষ শমীকের

BJP: ত্রিপুরার মানুষ সচেতন। তারা ঠিক সময়ে যাকে বসাবার বসিয়ে দেবে, মন্তব্য শমীক ভট্টাচার্যের।

Bengal BJP: 'সাংসদের মত নয়, কিন্ডার গার্টেনে শিশু পড়ানোর মতো ওনার কথা', অভিষেককে কটাক্ষ শমীকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ শমীক ভট্টাচার্যের। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 7:22 PM

কলকাতা: ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যখন সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কলকাতায় বসেই অভিষেককে এক হাত নিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। অভিষেকের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শমীকও।

রবিবার ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০২৩ সালে আমরা বিজেপি-কে উপড়ে ফেলব। বিপ্লব দেবের দুয়ারে গুন্ডা প্রকল্প চিরকালের জন্য বন্ধ করবে তৃণমূল।” তারই পাল্টা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “লড়াই করলে আত্মিক উন্নতি হয়, ক্ষমতা বাড়ে, শরীর ভাল থাকে। সব দিক থেকে ভাল। গণতন্ত্রের একটা শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ থাকা দরকার। উনি এ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে দু’ একটা আসনে জমানত বাঁচাতে পারেন। সেটাই রাজনৈতিক জয় হবে।”

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় যে কাজিয়া হয়েছে, তার নেপথ্যে বিপ্লব দেবের প্রশাসন রয়েছে বলে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এখানেই সভা করে গিয়েছিলাম, আমার মনে আছে। কিন্তু দুই সভার মধ্যে পার্থক্য কী? গতবার বহু মানুষ এসেছিলেন, কিন্তু এবার মাত্র ৫০০ লোক। ৫০০ মানুষ হয়তো সশরীরে, কিন্তু আমি জানি, ২০ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসে সভা শুনছেন। ছুটির দিনেই বিপ্লব বাবুর ছুটি হয়ে গেল।”

ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে এদিন সভামঞ্চ থেকে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “পুলিশ প্রশাসনকে দোষ দিচ্ছি না। ওরা চাপে থাকে। তবে ভুললে চলবে না কাঁধে পদ্মফুল নয়, অশোকস্তম্ভ রয়েছে।” শমীক ভট্টাচার্য এই মন্তব্যকে একেবারের ‘দুধেভাতে’ গোছের বলে মনে করেন। শমীকের প্রতিক্রিয়া, “ঠিক সাংসদের বক্তব্য হচ্ছে না। আরেকটু মানটা বাড়াতে হবে। এটা মনে হচ্ছে কিন্ডার গার্টেনে পড়ানোর মতো। মানুষকে এত বোকা ভাবার কারণ নেই। ত্রিপুরার মানুষ সচেতন। তারা ঠিক সময়ে যাকে বসাবার বসিয়ে দেবে।”

এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের নজরে বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য ত্রিপুরা এবং গোয়া। সেখানে মাটি শক্ত করতে মরিয়া বাংলার শাসক দল। সম্প্রতি গোয়া সফর সেরেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার দেখা গিয়েছে ত্রিপুরা সফরে।

আর তাঁর এই ত্রিপুরা সফর ঘিরে চাপানউতোরও কম হয়নি। রবিবার অভিষেকের সভার আগে শুক্রবার ত্রিপুরা সরকার এক নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়, ত্রিপুরা যেতে গেলে ৪৮ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। যদি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে না থাকে তাহলে সে রাজ্যে পৌঁছলে পরীক্ষা করা হবে। রেল বা বিমান যে কোনও পথে গেলেই যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক। যে সব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সে সব রাজ্যের জন্য মূলত এই নিয়ম জারি হয়েছে। এই নির্দেশিকা নিয়েও তৃণমূল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে।

এদিন শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “ত্রিপুরার মানুষ অত্যন্ত আতিথেয়তায় বিশ্বাসী। বহিরাগত কোনও রাজনৈতিক দল বলেনি। ত্রিপুরায় যাঁরা বেড়াতে গেছেন তাঁরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, মুখে মাস্ক থাকে, তাঁরা যাতে কোভিডে কোনও ভাবে সংক্রমিত না হয়ে যান তার জন্য সরকার সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে। মনোরম পরিবেশেই তৃণমূল বেরাতে পারবে।”

আরও পড়ুন: Rajib Banerjee Joins TMC: ‘আগেই বলেছিলাম রাজীব বঙ্গ বিজেপির সিলেবাসে নেই’! স্মরণ করালেন শমীক