Rajib Banerjee Joins TMC: ‘আগেই বলেছিলাম রাজীব বঙ্গ বিজেপির সিলেবাসে নেই’! স্মরণ করালেন শমীক
Rajib Banerjee: একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি নেতা (তখনও কাগজে কলমে বিজেপিতেই) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিজেপি বিরোধী নানা মন্তব্য শোনা যেত।
কলকাতা: মাস তিনেক আগেই বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সিলেবাসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) কোনও নাম নেই। রবিবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর আরও একবার সে কথাই উঠে এল শমীকের বক্তব্যে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সম্ভবত তিন মাস আগে এখান থেকেই বলে দেওয়া হয়েছিল, বঙ্গ বিজেপির সিলেবাসে ওর (রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়) নামটা নেই। আর ওকে নিয়ে কোনও আলোচনাও নেই। এসেছিলেন ভোটের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে। নির্বাচনে লড়েছেন। নির্বাচিত হতে পারেননি। যত দূর মনে পড়ছে এর পর থেকে আর দেখা যায়নি। সে জন্যই বলেছিলাম ওই নামটা আমাদের আর আলোচনায় নেই।”
একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি নেতা (তখনও কাগজে কলমে বিজেপিতেই) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিজেপি বিরোধী নানা মন্তব্য শোনা যেত। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতেন তিনি। এরপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে থাকে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের। জল্পনা জোরাল হয়, আবারও কি তৃণমূলেই ফিরছেন রাজীব?
সেই রাজীব, যাঁর বিরুদ্ধে বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। রবিবার রাজীবের তৃণমূলের ‘ঘর ওয়াপসির’ পর বিজেপি আরও একবার সে প্রসঙ্গই তুলে আনল।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এদিন বলেন, “বন সহায়ক পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। আসন সংখ্যা প্রথমে ৯০০ থাকলেও পরে ৩ হাজারের বেশি সেখানে নিয়োগ হয়। ১০ লক্ষ আবেদনকারী ছিল। দেড় মাসে ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ইন্টারভিউ নিয়ে তাদের নিয়োগ কী ভাবে সম্ভব হল, কোথায় তালিকা তৈরি হল এই প্রশ্ন আমরা তুলেছিলাম। আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসেও এ নজির নেই। এত তাড়াতাড়ি দেড় লক্ষ মানুষের ইন্টারভিউ! হাওড়ার বেশ কিছু গৃহবধূকেও আমরা দেখেছি তাঁরা এখন অরণ্য ভবনে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত চেয়েছিলাম। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন এটা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত চাই। তিনি সম্ভবত একটি তদন্ত কমিটিও করেছেন। এখন আমরা অধীর অপেক্ষায় ওই তদন্ত শেষে হয় কি না তা দেখার জন্য।”
রবিবার ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই ভুল ছিল। তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আধ ঘণ্টা ধরে তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়েও ছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি কোনও বাধাই মানেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলে কে ফিরবেন বা কাকে ফেরানো হবে তার বড় দায়িত্ব নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের ফেরানো হচ্ছে, তাঁদের প্রায়শ্চিত্ত করে তবেই আনা হচ্ছে বলেও খড়দহে সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক।
এদিকে বিজেপির হেস্টিংসের অফিসে রবিবার দুপুর পর্যন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা প্লেট দরজায় চকচক করেছে। এ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “ভারতীয় জনতা পার্টির স্থায়ী দফতর হেস্টিংস নয়। নির্বাচনের সময় নির্বাচনী অফিস খোলা হয়। সেখানে কে লাগিয়েছে, কে খুলেছে তা আমার কাছে জানা নেই।”