Suvendu Adhikari: কেউ টাকা আটকায়নি, চুরি আটকেছে, ১০০ দিনের টাকা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু বলেন, “মনরেগার ক্ষেত্রে পয়সা কেউ আটকায়নি, চুরি আটকানো হয়েছে। প্রকৃত জবকার্ড হোল্ডারদের জানাতে চাই ১.১১.২০২২ জবকার্ডের সঙ্গে আধারের যখন লিঙ্ক শুরু হয়, তার আগে এই রাজ্যে জবকার্ডের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭।”
কলকাতা: দিল্লি যখন তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখর, তখন কলকাতায় ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দিল্লির রাজঘাটে তৃণমূল যখন অবস্থানে, তখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ধরনায় বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব তাঁরা। যে ১০০ দিনের কাজে টাকা আনতে দিল্লিতে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সোমবার বিধানসভার সামনে বসে সেই ১০০ দিনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “আমার মনে হয় এখন সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”
বিজেপির অভিযোগ, পরতে পরতে দুর্নীতি রয়েছে এ রাজ্যে। চাকরি থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি মঙ্গলবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ইডি-সিবিআইয়ের গুঁতোতে চুরিতে সমস্যা হচ্ছে। ওরা আবার যাতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের হাজার হাজার কোটি টাকা আনতে পারে, সেই টাকা লুঠ করতে পারে। ওদের মুখোশ খুলে দিতে জাতীয় কার্যালয় থেকে আমাদের রাজ্য সভাপতি, সাংসদরা তথ্য প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।”
শুভেন্দু দাবি করেন, “ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। জিএসটির ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের দু’টো রাজ্য অডিট রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য দিয়েছেন। এই অডিট না হওয়া পশ্চিমবঙ্গকেও জিএসটির কালেকশন হবে ধরে নিয়ে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়েছে সরকার।”
শুভেন্দুর বক্তব্য, আমফানের পর ৩৭৫০ কোটি টাকা দেওযা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাগ তদন্ত করছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে চুরি আর দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। শুভেন্দু বলেন, “মনরেগার ক্ষেত্রে পয়সা কেউ আটকায়নি, চুরি আটকানো হয়েছে। প্রকৃত জবকার্ড হোল্ডারদের জানাতে চাই ১.১১.২০২২ জবকার্ডের সঙ্গে আধারের যখন লিঙ্ক শুরু হয়, তার আগে এই রাজ্যে জবকার্ডের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭। এই তথ্য এমআইএসের। আধারের সঙ্গে লিঙ্ক হওয়ার পর ৩০.৯.২০২৩ সালে এখানে জবকার্ডের সংখ্যা হল ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৩২। ভুয়ো সব নাম বাদ পড়েছে। ১ কোটির উপরে কার্ড বাতিল হয়।”
শুভেন্দুর কথায়, “এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, এই চুরি আটকানোর জন্য আমাদের লড়াই। প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে ফেক জবকার্ডের টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া, চোরেদের জেলে ভরার জন্য আমাদের লড়াই। এক শ্রেণির নির্মাণ সহায়ক, সঙ্গে বিডিও, জেলাশাসক, পঞ্চায়েতের চোরেরা। জব কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের প্রধানের। আমরা আগামিদিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দাবি করব মনরেগার ডাকাতি নিয়ে সিবিআই অবিলম্বে তদন্ত করতে হবে।”