রেল ভবনে আগুন: দমকলের ভূমিকা নিয়ে পালটা প্রশ্ন বিজেপির, তোপ মমতাকে

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃতদেহের উপরে পা রেখে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয় দমকল দফতরের (Fire Brigade) ভূমিকা নিয়েও।

রেল ভবনে আগুন: দমকলের ভূমিকা নিয়ে পালটা প্রশ্ন বিজেপির, তোপ মমতাকে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 6:08 PM

কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডে রেল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের (Strand Road Fire) জন্য ঘুরিয়ে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বলেন, এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে পালটা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃতদেহের উপরে পা রেখে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয় দমকল দফতরের (Fire Brigade) ভূমিকা নিয়েও।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, শহর কলকাতায় একাধিক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সত্ত্বেও দমকল দফতরে এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিগত দিক থেকে পর্যাপ্ত আধুনিকীকরণ হয়নি। যার ফলে কলকাতার বর্তমান অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা হয়ে উঠেছে। দমকল মন্ত্রীরা যতই দাবি করুন না কেন, প্রত্যেক মানুষই জানে বাস্তব চিত্রটা কী, এমনটাই বক্তব্য বিজেপির।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে এ দিন বিজেপি নেতা আরও বলেন, “তৃণমূল আবার মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। যেভাবে আগুনে এত মানুষের প্রাণ গেল, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী সব বলছেন?” তাঁর আরও খোঁচা, “আগুন না নিভিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে বাড়ির প্ল্যান কোথায়। দোষ দেওয়া হচ্ছে রেল দফতরের উপর। কেন্দ্রীয় সরকার আর বিজেপি যে এক নয় সেটা তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিতে চাই। এই দুটোর মধ্যে সুনির্দিষ্ট ফারাক রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মমতা দাবি করেন, “এটা রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেমন বিদ্যুতের ঝলক দেহটাকে ঝাঁঝরা করে দেয় পুড়িয়ে, তেমনই ৭ জনকে করে দিয়েছে। রেলের জায়গা এটা, সবটাই রেলেই। খোঁজ নিচ্ছিলাম তাঁদের কেউ আসেনি এখনও। এটা কিন্তু রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দমকল থেকে একটা ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। যাতে বিল্ডিংয়ে কোথায় কী আছে বোঝা যায়। সেক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই আমাকে আমার সতীর্থ সুজিত বসু জানিয়েছে। যাই হোক, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।”

আরও পড়ুন: পোস্তা বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই পুরস্কার শোকেসে! স্ট্র্যান্ড রোডে অনিরুদ্ধর ছোট্ট ভুল

নির্বাচনী নির্ঘণ্ট এবং তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকেই নন্দীগ্রামে প্রচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিজেপিও যদি সেই আসনে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এ দিন নন্দীগ্রামে প্রচারে নেমে মমতা বলেন, “নন্দীগ্রামকে আগামিদিনে মডেল নন্দীগ্রাম করতে চাই। নন্দীগ্রামে কেউ বেকার থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি আমাদের ইস্তেহারে রাখছি। এক বছরের জন্য দু’টো বাড়ি নিয়েছি। তিন মাস অন্তর আসব। পরে কুঁড়ে ঘর বানিয়ে নেব। মনে রাখবেন কথা দিলে কথা রাখি।”

যা নিয়ে পালটা দিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, “উনি ওখানে থাকবেন ভাল কথা। কিন্তু, কুঁড়ে ঘরে তো থাকা হবে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকার তো ওনাকে কুঁড়ে ঘর দেবে না। উনি তো ঘর পাবেন।”

আরও পড়ুন: জতুগৃহ কলকাতা! এর আগে কত বার কান্নায় ভেসেছে শহর, ঝলসে গিয়েছে শরীর?