AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ankita Adhikari: ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে! এই প্রথম আদালতে স্বীকার করল পর্ষদ

Ankita Adhikari: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে প্রথম থেকেই। সেটাই এবার স্বীকার করে নিল পর্ষদ।

Ankita Adhikari: ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে! এই প্রথম আদালতে স্বীকার করল পর্ষদ
মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 6:41 AM
Share

কলকাতা: বিগত কয়েক বছর ধরে নিয়োগ নিয়ে লড়াই করে চলেছেন উত্তরবঙ্গের মেয়ে ববিতা সরকার। তালিকা তৈরি হওয়ার পরও কী ভাবে জুড়ে বসল অঙ্কিতা অধিকারীর নাম? টেস্ট না দিয়ে কী ভাবে চাকরি পেলেন অঙ্কিতা? এই প্রশ্ন প্রথম থেকে তুলে এসেছেন তিনি। সেই মামলায় ইতিমধ্যে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তবে ববিতার অভিযোগ যে সত্যি, এ কথা এবার প্রমাণ হয়ে গেল আদালতে। শুক্রবার এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় প্রথমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্বীকার করে নিল যে অঙ্কিতা কোনও দিনই ইন্টারভিউ দেননি। অর্থাৎ ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি হয়ে গিয়েছিল মন্ত্রী-কন্যার।

শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। আর সেখানেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানিয়েছেন, অঙ্কিতা কোনও ইন্টারভিউ দেননি। খোদ পর্ষদের চেয়ারম্যানই এ কথা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।

এই মামলার মামলাকারী ববিতা আদালতে জানিয়েছিলেন, অঙ্কিতার কোনও পার্সোনালিটি টেস্টের পরীক্ষা হয়নি। পার্সোনালিটি টেস্ট না দিয়েই অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছিলেন। ববিতার সেই দাবি এবার মেনে নিল পর্ষদও।

এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ববিতা। পর্ষদের এই স্বীকারোক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম দিনই এ কথা মনে হয়েছিল। তিনি জানান নিয়োগে দ্বিতীয় তালিকা যখন বেরল, তখন থেকেই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। কোন পথে অঙ্কিতার নাম তালিকায় উঠল, সেই প্রশ্ন মনে জেগেছিল। পরে এই বিষয়ে জানতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়েছেন ববিতা। তিনি জানান, প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে ভুয়োগ খবর ছড়িয়ে যায় যে অঙ্কিতা নাকি আরটিআই করায় তাঁর নম্বর বেড়েছে, তাই তালিকায় নাম উঠেছে। ববিতার দাবি, পরে তাঁরা বুঝতে পারেন এ ভাবে আরটিআই করে নম্বর বাড়ানো যায় না, এটা ভুুয়ো খবর।

সেই লড়াই জারি ছিল এতদিন ধরে। আর শুক্রবার পর্ষদ জানিয়ে দিল, সত্যিই কোনও টেস্ট দিতে হয়নি অঙ্কিতাকে।

অভিযোগ, মন্ত্রীর মেয়ে হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে হয় অঙ্কিতার নিয়োগ। অথচ ওই তালিকায় থাকা ববিতার নাম নীচে নেমে যায় অজ্ঞাত কারণে। ফলে চাকরি পান না তিনি।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। সেই সঙ্গে ৪১ মাস ধরে যে টাকা তিনি পেয়েছেন বেতন হিসেবে, তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার ববিতাকে অঙ্কিতার স্কুলেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলায় ইতিমধ্যে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।