Bowbazar: রাতভর চেষ্টায় বোজানো হয়েছে সুড়ঙ্গের শেষ ছিদ্রটিও, আজ মেট্রোর সঙ্গে পুরসভার বৈঠক

Bowbazar: ১০ টি জায়গার ছিদ্র আগেই বন্ধ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় বাকি ১ টি জায়গার ছিদ্র বন্ধ করে দেন কেএমআরসিএল-এর কর্মীরা। নতুন করে কোনও জায়গা থেকে জল বেরোচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Bowbazar: রাতভর চেষ্টায় বোজানো হয়েছে সুড়ঙ্গের শেষ ছিদ্রটিও, আজ মেট্রোর সঙ্গে পুরসভার বৈঠক
বউবাজারে বাড়িতে ফাটল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 12:36 PM

কলকাতা: সুড়ঙ্গের একটি জায়গা দিয়ে অনবরত জল বেরিয়ে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা থেকে টানা চেষ্টা চলছিল সেই ক্ষত মেরামতির। টানা কাজ করার পর সেই ছিদ্র বন্ধ করতে সক্ষম হল কেএমআরসিএল- এর কর্মীরা। নতুন করে কোথাও আর জল বেরোচ্ছে না। তবে কোথাও ছিদ্র রয়ে গিয়েছে কি না, সেটিও দেখা হচ্ছে। বউবাজারে মেট্রোর টানেলের তলায় জয়েন্ট বক্স বসানোর জন্য ২৯ মিটারের কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৯ মিটার স্ল্যাব তৈরি কাজ। এই ৯ মিটার স্ল্যাব তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল। সেই কাজ করার সময় দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে জল বেরোতে শুরু করে। ১১টি জায়গা থেকে জল বের হয়। ১০ টি জায়গার ছিদ্র আগেই বন্ধ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় বাকি ১ টি জায়গার ছিদ্র বন্ধ করে দেন কেএমআরসিএল-এর কর্মীরা। নতুন করে কোনও জায়গা থেকে জল বেরোচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন পুর কমিশনার। বাড়িগুলির কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন কমিশনার। আজ মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকও রয়েছে পুরসভার।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলাকালীন বুধবার সন্ধে থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি। অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন দিশেহারা বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, কয়েকদিন আগেই রাস্তায় ফাটল লক্ষ্য করেন তাঁরা। বুধবার তা চরমে পৌঁছয়। বিকেলের দিকে একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরতে শুরু করে। সময় যত গড়াতে থাকে ফাটল তত বাড়ে। মেঝেতে, দেওয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা যায়।

খবর পেয়ে দুর্গা পিতুরি লেনে পৌঁছন মুচিপাড়া থানা ও কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। দ্রুত ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। মাইকে প্রচার করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে পুলিশ। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের দ্রুত ঘর ছাড়ার আবেদন জানান পুলিশ আধিকারিকরা। যাঁরা বাড়ির ভিতরে আছেন, তাঁদের বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়। পুলিশের তরফে বাসিন্দাদের জানানো হয়, ক্রিক রো-র একটি হোটেলে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আতঙ্কিত হয়ে দুর্গা পিতুরি লেনের অনেক বাসিন্দাই রাতেই এক কাপড়ে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ নথি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় যেটুকু জিনিস নেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে অনেকেরই স্কুলের পরীক্ষা চলছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তারাও দিশেহারা হয়ে পড়ে। কোনওমতে অ্যাডমিট কার্ডটুকু নিয়ে বাড়ি ছাড়ে তারা। পুলিশের তরফে হোটেলের কথা বলা হলেও অনেকেই পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যায় অনেককেই। হোটেলেও তাঁদের জন্য ঠিক মত ব্যবস্থাপনা ছিল না। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

কেএমআরসিএলের কর্তা চন্দ্রনাথ ঝাঁ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা যথাযথ পদক্ষেপ করছি। ধীরে ধীরে সমস্যা মিটবে। সুড়ঙ্গে জল ঢুকে যাওয়াতেই দুর্ঘটনা। বিপজ্জনক বাড়ির লোকজনদের দ্রুত বের করে আনাটাই মূল লক্ষ্য। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”