BSF Border: বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত, প্রস্তাব আসতে চলেছে বিধানসভায়

BSF Border: মঙ্গলবার থেকেই অধিবেশনে আসার কথা বিজেপি পরিষদীয় দলের। এবং তাঁরা এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে।

BSF Border: বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত, প্রস্তাব আসতে চলেছে বিধানসভায়
বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আসবে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 9:49 AM

কলকাতা: বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি (BSF Border) নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আসবে। কেন্দ্রের বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত। এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আসবে। মঙ্গলবার বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধে সরকার পক্ষের তরফে এই প্রস্তাব নিয়ে বলার কথা উদয়ন গুহ, তাপস রায়, হুমায়ুন কবীর, রফিকুল ইসলাম মন্ডলদের। প্রস্তাব পাঠ করবেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বক্তা হিসাবে থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যা সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সোমবারেরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

এদিকে, মঙ্গলবার থেকেই অধিবেশনে আসার কথা বিজেপি পরিষদীয় দলের। এবং তাঁরা এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে। কারণ, বেআইনি পাচার রোধে, সীমান্তবর্তী এলাকায় শাসক দলের মদতে চলা বেআইনি কার্যকলাপ রোধে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এদিন আলোচনায় অংশ নিলে সে কথাই বলবে বিজেপি পরিষদীয় দল।

আইএসএফ ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সরব হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন তাঁরা। শুক্রবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভায় আমরা বিএসএফের নজরদারির যে সীমানা যা ১৫ কিলোমিটার ছিল, যাকে বাড়িতে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা ১৮৫ বিধানসভার যে রুল তাতে একটা আলোচনার জন্য এনেছি। সেটা গৃহীত হয়েছে। ১৬ তারিখ তা নিয়ে আলোচনা হবে। দেড় ঘণ্টার আলোচনাপর্ব।”

বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে তার প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজও তো দেখলেন একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ভয়টা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, রাজ্য পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তা সামলাচ্ছে। সীমানা সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। এখন এরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই সমন্বয়ের অভাব ঘটবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিএসএফ অ্যাক্টে অনুমোদন নেই। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে বিজ্ঞপ্তি, যে চিঠি তা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব।”

এরই মধ্যে শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। তাঁরা গরুপাচারকারী বলে অভিযোগ ওঠে। একজন ভারতীয় ও দু’জন বাংলাদেশি এই ঘটনায় নিহত হন বলে খবর। সাতভাণ্ডারীতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএসএফ জানিয়েছে, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই এবার শাসকদল বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে চরম বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি নাকি কমবে তাপমাত্রা? আজ থেকে কলকাতার আবহাওয়ায় কীরকম পরিবর্তন?