AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দীনেশের ছেড়ে যাওয়া আসনে ৯ অগস্ট উপনির্বাচন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কমিশন

Bye Election: যদিও আরও একটি রাজ্যসভার সাংসদ আসন ফাঁকা রয়েছে। মানস ভুঁইয়্যা, যিনি এই পদ ছেড়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। তবে তাঁর জায়গায় নতুন সাংসদ নির্বাচনের কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও অবধি জারি করা হয়নি।

দীনেশের ছেড়ে যাওয়া আসনে ৯ অগস্ট উপনির্বাচন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কমিশন
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2021 | 1:25 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যসভার উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে ফের নির্বাচন হবে। ৯ অগস্ট ওই আসনে ভোটগ্রহণ বলে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীনই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। এদিকে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। ফলে এই আসনে সত্ত্বরই নির্বাচন করাতে চাইছে কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২২ জুলাই প্রথা মেনে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

২৯ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করা যাবে। ৩০ জুলাই হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ অগস্ট। এরপরই ৯ তারিখ ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। সেদিনই বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা। যদিও আরও একটি রাজ্যসভার সাংসদ আসন ফাঁকা রয়েছে। মানস ভুঁইয়্যা, যিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। তবে তাঁর জায়গায় নতুন সাংসদ নির্বাচনের কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও অবধি জারি করা হয়নি।

২০১২ সালে মনমোহন সিং সরকারের মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রী ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। সেই সময় তৃণমূলে তিনি। দল ও দলনেত্রীর মতের বিপক্ষে গিয়ে রেল ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই সময়। এরপরই দলের সঙ্গে দীনেশের সম্পর্কে চিড় ধরা শুরু হয় বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। রেলমন্ত্রীর পদ হারান দীনেশ। সে পদে বসেন মুকুল রায়। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অর্জুন সিংয়ের কাছে ব্যারাকপুর আসনে হেরে যান তৃণমূলের মুখ দীনেশ।

গুঞ্জন ছিল, এর পরই বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানো শুরু করেন তিনি। দীনেশের এমনিতেই দলবদলের রেকর্ড রয়েছে। আটের দশকে কংগ্রেসের হাত ধরে দীনেশের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পরে কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দলে যোগ দেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি জনতা দলের সাংসদ ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান তিনি। বলা যায়, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে সে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি নাটকীয়ভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। সে দিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই পদত্যাগের ঘোষণা করেন তিনি। অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বেশি সময় নেব না। দুই মিনিটের মধ্যেই আমার বক্তব্য শেষ করব। আমি অন্তরাত্মার ডাক অনুসরণ করে এগোচ্ছি। আমার মতে কাজ না করার থেকে পদত্যাগ করাই শ্রেয়। এখানে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না, দম বন্ধ হয়ে আসছে।” এরপরই তৃণমূল ছাড়েন এবং বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁর ছেড়ে যাওয়া সাংসদ আসনেই এবার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কমিশন। আরও পড়ুন: এবার ভুয়ো ইডি কর্তা! প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূল সাংসদ