Amphan: আমফানের ত্রাণ-দুর্নীতির তদন্ত কত দূর এগোল, জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
Amphan: ২০২০ সালের ২০ মে। ভয়ঙ্কর সেই দিনের স্মৃতি এখনও টাটকা বাংলার বুকে।
কলকাতা: আমফানের ত্রাণের জিনিস নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত কত দূর এগোল, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আমফানের পর সরকারের তরফে বসিরহাট-২ ব্লকের ঘোরারস কুলিন গ্রামে পাঁচটি ট্রাকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল। সেই ত্রাণ বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত উপপ্রধানের। সেই মামলার অগ্রগতি কত দূর হল তা নিয়ে জানতে চাইল হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২০ মে। ভয়ঙ্কর সেই দিনের স্মৃতি এখনও টাটকা বাংলার বুকে। বেলা গড়াতেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার আকাশ ঢেকেছিল কালো মেঘে। সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে হাওয়ার দাপট। সন্ধ্যার পর লণ্ডভণ্ড কাণ্ড মহানগর-সহ একাধিক জেলায়। ঝড়, বৃষ্টি— সে এক তোলপাড় করা দিন-রাত। প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল আমফান। উত্তাল সমুদ্র, ঝোড়ো হাওয়া, সুন্দরবনের কান্না আর জলমগ্ন কলকাতা। আমফানে বাঁধ ভেঙেছিল, ভেসে গিয়েছিল ঘরবাড়ি। একটা বিস্তীর্ণ অংশের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। সে ক্ষতির হিসাব কষে মেলানোর সাধ্য বোধহয় ঈশ্বরেরও নেই। এখনও পুরোপুরি ভাবে আমফানের ক্ষত সারিয়ে ওঠা যায়নি উপকূলের জেলাগুলিতে।
এদিকে এই সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ত্রাণের ঘোষণা করেন রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় শুরু হয় ত্রাণ বিলির কাজ। এরপরই ত্রাণ বণ্টন নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সেই অভিযোগের সিংহভাগই শাসকদলের বিরুদ্ধে যায়। নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত স্বীকার করে নেন সে কথা। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কিছুটা গোলমাল হয়ে গিয়েছে। এরপর নতুন করে ত্রাণপ্রাপকদের তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেন তিনি।
ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়। উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গা থেকে এই অভিযোগ ওঠে। ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ এবং বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, সাইক্লোনে ক্ষতি না হলেও, ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সরকারের ত্রাণ পেয়েছেন তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়, পরিজনরা।
এরকমই একটি ঘটনা ঘটে বসিরহাটের ঘোরারস কুলিন গ্রামে। সরকারের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাম্বিল হোসেনের বাড়ির গোডাউনে মজুত করা ছিল বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি মালতীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দু’টি ট্রাক বোঝাই সামগ্রী গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে। তাঁদের অভিযোগ, ত্রাণ সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে মাটিয়া থানায় স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও মামলাকারীদের বক্তব্য, পুলিশ এফআইআর করেছে ঠিকই। তবে সেখানে কোনও উপযুক্ত ধারা যুক্ত করেনি তারা। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানতে চান, আমফানের মতো ঘটনায় কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল? তদন্তের অগ্রগতি কত দূর হয়েছে? ২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন: ‘এ রাজ্যে আমাদের কিছু হবে না’ বলতে বলতে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেলেন পাঁচ শিক্ষিকা