Anubrata Mondal: FIR খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন অনুব্রত, হাইকোর্টে মিলল না স্বস্তি
Anubrata Mondal: বর্তমানে আসানসোলে সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। গত নভেম্বরে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছিল ইডি।
কলকাতা : ইডি ও সিবিআই-এর জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-এর মামলায় জেল হেফাজতে থাকার মাঝেই ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। সেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য়ই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু সেই মামলায় আপাতত মিলল না স্বস্তি। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলছে, তাই আপাতত মামলা শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে, আপাতত অব্যাহতি পেলেন না অনুব্রত। সিবিআই-এর মামলা এ রাজ্যে চললেও, যেহেতু ইডি গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে দিল্লির সদর দফতর থেকে, তাই এই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করেন অনেকে।
কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে চলছে এই এফআইআর খারিজের মামলার শুনানি। দিল্লি হাইকোর্টে আগামী ২৩ জানুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি রয়েছে। তাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলা শোনা হবে। এর আগে জামিনের আর্জি জানিয়েও ধাক্কা খেতে হয়েছে অনুব্রতকে। হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে সেই আবেদন। ফলে এখনই অনুব্রত জেল থেকে বেরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েই যাচ্ছে।
বর্তমানে আসানসোলে সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। গত নভেম্বরে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছিল ইডি। এরপর গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছিল। দিল্লি যাওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, তখন একটি পুরনো মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। এরই মধ্যে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।