Calcutta High Court: ‘কোর্ট অর্ডার অবজ্ঞা করা মানব না’, কী করে কলকাতা হাইকোর্টে কড়া ভর্ৎসিত নির্বাচন কর্তারা?

Calcutta High Court: পর্যাপ্ত পুলিশ রেখে ভোট করানোর শুক্রবারের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কেনো মানা হয়নি, আদালতের এই প্রশ্নে পুলিশের অভাব রয়েছে বলে নির্বাচন কর্তারা জানান। আর  পুলিশের অভাবের অভিযোগ তুলতেই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের কড়া  হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয় কর্তকর্তাদের।

Calcutta High Court: 'কোর্ট অর্ডার অবজ্ঞা করা মানব না', কী করে কলকাতা হাইকোর্টে কড়া ভর্ৎসিত নির্বাচন কর্তারা?
কলকাতা হাইকোর্ট।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2024 | 12:21 PM

কলকাতা:  কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসিত আইটিসি কোম্পানির কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচন কর্তারা। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শনিবার আইটিসি কোম্পানির কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচন না করে ডিভিশন বেঞ্চে ভর্ৎসিত হতে হয় কর্তাদের। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে রোষের মুখে পড়েন নির্বাচন কর্তারা। পর্যাপ্ত পুলিশ রেখে ভোট করানোর শুক্রবারের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কেনো মানা হয়নি, আদালতের এই প্রশ্নে পুলিশের অভাব রয়েছে বলে নির্বাচন কর্তারা জানান। আর  পুলিশের অভাবের অভিযোগ তুলতেই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের কড়া  হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয় কর্তকর্তাদের। হাইকোর্টের বক্তব্য, “পুলিশ দিতে না পারলে প্রয়োজনে সিআরপিএফ নামিয়ে ওই ভোট করার নির্দেশ দেবো। কিন্তু এই ভাবে কোর্ট অর্ডার অবজ্ঞা করা মানব না।”  বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

আইটিসি সংস্থার কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচন ৪৮ ঘণ্টা আগে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল রিটার্নিং অফিসার। যুক্তি হিসাবে  দেখানো হয়েছিল, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা থাকত। এর বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয় সিটু। শুক্রবার বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তারা পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার  ব্যাপারে কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেনি। সেই শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্বাচন করতে নির্দেশ দেয়।

শনিবার সকাল সাতটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ওই নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাও নির্বাচনে না গিয়ে কর্মকর্তারা ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, যে কারণ দেখিয়ে ওই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল, তার যথাযথ কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি পোর্ট এবং স্থানীয় থানাকে ভোট করতে কোনওরকম সমস্যা যাতে না হয়, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু সেটাও মানা হয়নি।