Jharkhand MLA Case: কথোপকথনের রেকর্ড মেলেনি, অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক

Jharkhand MLA Case: হাওড়ার পাঁচলা থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়া হল তাঁদের।

Jharkhand MLA Case: কথোপকথনের রেকর্ড মেলেনি, অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 12:21 AM

কলকাতা : হাওড়া থেকে টাকা উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককে। ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের কাছ থেকে। সেই তিন বিধায়কের মামলায় এবার জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে আদালতের তরফে। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের যুক্তি ছিল এখনই জামিন দেওয়া হলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তা মানতে চায়নি আদালত। জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকা। ওই গাড়িতেই রাজেশ কাচ্ছপ ও নমন বিকসল কোঙ্গারি নামে আরও দুই কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন।

বিধায়ক কেনা-বেচার জন্য ওই টাকা ব্যবহার করা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু যে বিধায়ক এফআইআর করেছিলেন, তিনি ফোনের কোনও কথোপকথন পেশ করতে পারেননি আদালতে। তাই বিধায়ক কেনা বেচার অভিযোগও প্রমাণ করা যায়নি। জামিন পেলেও আপাতত পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন বিধায়ককে। জয়মাল্য বাগচি ও অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।

এ দিন তিন বিধায়কের পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতাগী আদালতে জানান, ঝাড়খণ্ডে নতুন সরকার হচ্ছে না যে বিধায়ক কেনা বেচা হবে। বিধায়কদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই তাঁদের অপরাধী বলা যায় না বলেও উল্লেখ করেছেন আইনজীবী। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আয়কর দফতর টাকা বাজেয়াপ্ত করবে। এখানে পুলিশের কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয়।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী শাশ্বত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যিনি এই তিন বিধায়ককে টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের সম্পর্কে তথ্য মিলেছে। শাড়ি কেনার কথা বলা হলেও তাঁদের কাছে শাড়ি ছিল না বলেই দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, শাড়ির ভুয়ো বিলও মিলেছে।

গ্রেফতার হওয়া তিন বিধায়কদের আয়ের উৎস সম্পর্কে এ দিন জানতে চান বিচারপতি। তবে যে বিধায়ক অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি এক দিন পর কেন অভিযোগ জানালেন, কথোপকথনের কোনও রেকর্ড দেওয়া হল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।